নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী থানাতে আসা সাধারণ মানুষের সেবা শতভাগ নিশ্চিতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান। ইতিমধ্যে গত দুই মাসে ফতুল্লা মডেল থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে। থানাতে পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য কমেছে প্রায় শতভাগ। বর্তমানে সাধারণ ডায়েরী কিংবা মামলা করতে এক টাকাও খরচ করতে হয় না। এছাড়াও জেলার সাতটি থানার মধ্যে ওয়ারেন্ট তামিল, মাদক উদ্ধারেও এগিয়ে রয়েছে ফতুল্লা থানা।
এর পাশাপাশি থানায় সেবা নিতে আসা মানুষদের সাথে সরাসরি কথা বলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন ওসি। পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের কারণে অপরাধ নিয়ন্ত্রনসহ সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের সমন্বয় বেড়েছে বহুগুন । মূলত জেলা পুলিশ সুপারের দিননির্দেশনা ও তার মনিটরিংয়ের কারণে সেবার মান বেড়েছে ফতুল্লা থানায়। কেননা কোন পুলিশ সদস্য বেআইনী কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন পুলিশ সুপার।
অপরাধ নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী ফতুল্লায় চলছে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান। তারই ধারাবাহিগতায় গত ২ জুন ফতুল্লার মুসলিমনগর সাকিনস্থ জনৈক বাদল মিয়ার বাড়ির পাশে ২৫০ ক্যান বিয়ারসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গত ২৫ মে কাশীপুর হাটখোলাস্থ জুনিয়র স্কুলের পাশে এক হাজার পিছ ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। এর আগে দৌলতপুরে ২৫ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১৯ মার্চ দেলপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর ডিএনডি প্রকল্পের ব্রীজ নিমার্ণস্থল থেকে ২৬ টন রড ডাকাতি হয়। পরে ডাকাতি হওয়া মালামালসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ। এছাড়াও জুয়ারি, ঝুট সন্ত্রাসী, অটোরিক্সা চোর, মটোর মাইকেল চোর, কিশোর গ্যাংয়ের বেশ কয়েকজন সদস্য গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ফতুল্লাবাসীদের মধ্যে।