নারায়ণগঞ্জ মেইল: বক্তাবলীতে ভূমিদস্যু ও স্থানীয় সন্ত্রাসী আনোয়ার গং এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এতে অসহায় জমির মালিক ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শুক্রবার (৭ মে) জমির মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন এই অভিযোগ দায়ের করেন। আনোয়ার হোসেন (৩৫), আমজাদ হোসেন (৩৭) উভয় পিতা চাঁনমিয়া, দেলোয়ার হোসেন (৩৫) পিতা মৃত আনসার আলী, সর্ব সাং রাজাপুর, রফিক (৫০) পিতা মৃত হযরত সিপাই, জসিম (৩৮) পিতা আহাম্মদ উভয় সাং গোপালনগর। এই ৫জন সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ পত্রে উল্ল্যেখ করা হয়, রাজাপুর গ্রামের পঞ্চয়েত প্রধান প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা ইয়াদ আলী মাষ্টারের ছেলে মেয়েরা উত্তরাধীকার ও ক্রয়সূত্রে জমির মালিক হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। ১৫/২০ দিন আগে তার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন এই জমির কিছু অংশ বালু ভরাটের কাজ শুরু করলে এলাকার স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাধা প্রদান করিয়া চাঁদা দাবি করে হুমকি প্রদান করে এবং তারা উল্টো ঐ জমিটি ভরাট করে দখলে নেওয়ারও হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে তারা বালু ভরাটের জন্য পাইপ সংযোগ প্রদান করে।
জমির মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমি আমার জমি ভরাট করতে আসলে স্থানীয় সন্ত্রাসী ভুমিদস্যু আনোয়ার সহ তার বাহিনী বাধা প্রদান করে । পরবর্তীতে আমার ভাড়াকৃত ড্রেজারটি সরিয়ে তাদের ভাড়াকৃত ড্রেজার স্থাপন করে জমি ভারাটে চেষ্টা চালায় এবং আমাকে হুমকি দিয়ে তেড়ে আসলে লোকজন আমাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। তারপর আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলীকে জানালে তিনিও মোবাইলে তাদের ড্রেজারের পাইপ স্থাপনের জন্য নিষেধ প্রদান করেন। এবং অভিযোগের পর থানা থেকে তদন্ত কর্মকর্তা এলাকায় এসে ড্রেজারের মালিককে পাইপ সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়ে যান এরপর থেকে আনোয়ার ও তার দলবল আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। । কিন্তু প্রশাসন ও চেয়ারম্যানের নিষেধ অমান্য করে রাতের আধারে নতুন করে আরো পাইপ সংযোগ স্থাপন করে। আমি এর সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবী করছি।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায়ত ইয়াদআলী মাষ্ঠারের এই জায়গা তার ছেলেরা দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছে কিন্তু কিছুদিন আগে কিছুলোক এসে তাদের জায়গা বলে দাবী করে দখল করার চেষ্টা করছে।
বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী বলেন, স্থানীয় জমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে কোন বিবাদে জাড়াতে দুই পক্ষকে নিষেধ করা হয়েছে। দুইপক্ষকে কাগজ পত্র নিয়ে বসার জন্য বলা হয়েছে। আগামীকাল বসার পর কাগজ পত্র দেখে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কাউকে জোর খাটিয়ে কিছু করতে দেওয়া হবে না।
ফতুল্লা থানার এসআই রওশন ফেরদৌস জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বালু ভরাট করতে নিষেধ করা হয়েছে। ##