নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জে চলমান লকডাউনে দরিদ্র নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকেও চরম অসহায় অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। নিম্নবিত্ত মানুষগুলো সরকারী ত্রাণের পাশাপাশি বেসরকারী বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংগঠনের দেয়া খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কোন রকমে জীবন কাটিয়ে দিতে পারলেও বেকায়দায় পরে যায় মধ্যবিত্ত সমাজ। তারা না পারছে চেয়ে নিতে না পারছে পরিবারের লোকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গণ মাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়কে নিয়ে হাহাকার পরে যায়।
কিন্তু গত ৯ এপ্রিল থেকে নারায়ণগঞ্জের বিপনীবিতানগুলো খুলে যাওয়ার পর থেকেই গনেশ উল্টে যেতে থাকে। লকডাউনে অসহায় হয়ে পরা নারায়ণগঞ্জের সেই মধ্যবিত্ত শ্রেনিই ভীড় করতে থাকে মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা করতে। ফলে সচেতন মহলের মাঝে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে মধ্যবিত্তের দ্বৈত সত্তার বিষয়ে। কর্মহীন যে মধ্যবিত্ত এতাদিন মুখ চেপে কান্না লুকিয়েছে, তারাই কি করে ঈদ কেনাকাটায় ঝাঁপিয়ে পরতে পারে। তাহলে কোনটা সত্যি, কাজ না থাকায় টাকার অভাবে না খেয়ে থাকা নাকি ঈদের কেনাকাটায় মার্কেটে ভীড় করা। কারন গত কয়েকদিন নারায়ণগঞ্জের শপিং সেন্টারগুলোতে উচ্চবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের তেমন একটা দেখা মিলেনি, বরং সেই টানাপোড়েনের মধ্যবিত্তই ব্যস্ত ঈদ কেনাকাটায়।
করোনার প্রকোপ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছেন। সেসব অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছে সরকার, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সমাজের সামর্থবান ব্যক্তিবর্গ। নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে করোনার রেড জোন। এখানে দিনকে দিন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেইসাথে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তাই এখানকার মানুষকে গত প্রায় একমাস যাবত জোর করে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে।