নারায়ণগঞ্জ মেইল: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর কোন প্রকার সতর্কতাই নেই নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতে। অথচ এসব ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে পণ্য কেনার জন্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের উপচে পরা ভীড় দেখা গেছে। একজনের গায়ের উপরে দাড়িয়ে অন্য আরেকজন পণ্য কেনায় ব্যস্ত, সামাজিক দুরত্ব মানার কোন বালাই নেই তাদের মধ্যে। এমনকি শারীরিক দুরত্বটুকুও মানা হচ্ছে না সেখানে। যদিও পুলিশ কিছুক্ষণ পর পর এসে হকারদের তুলে দিচ্ছে কিন্তু পুলিশ চলে গেলেই আবার হকাররা ফুটপাত দখল করে বসে যাচ্ছে আর ক্রেতারাও হুমড়ি খেয়ে পরছেন সেখানে।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষনা করে সরকার। তিন দফায় সে লকডাউন আগামী ৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমে লকডাউনে দেশের সকল দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ থাকলেও ৯ এপ্রিল থেকে দোকান মার্কেট খোলার ঘোষনা দেয় সরকার। সরকারের সে ঘোষনার পর যেমন খুলেছে মার্কেট শপিং মল, তেমনি নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতেও বসতে শুরু করেছে হকাররা। নানান পন্যের পসরা সাজিয়ে ক্রেতাকে অকৃষ্ট করার চেষ্টা তাদের। মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষও ঈদ কেনাকাটায় ফুটপাতে ভিড় করতে থাকেন।
মার্কেট দোকানপাট খোলার পরপরই ফুটপাতে একজন দুজন করে বসে যেতে থাকেন হকাররা। আর ঈদ ঘনিয়ে আসায় এখন জমজমাট বেচাকেনা চলছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। মার্কেটে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ফুটপাতে নেই সে রকম কোন বন্দোবস্ত তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেখানে কেনাকাটা করছেন অনেকে। এতে করে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পরার আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।