নারায়ণগঞ্জ মেইল: প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। একদিকে করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে, অন্যদিকে ঘরে বসে থাকায় কর্মহীন হয়ে অভাবের শিকার হতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের অসংখ্য মানুষকে। এ সময়ে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সামর্থবান মানুষ এসব কর্মহীন অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সাংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাও দিনরাত ছুটে বেড়াচ্ছেন অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে কিন্তু সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যানকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে কিংবা সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজে। তাই সদর উপজেলাবাসী তাদের চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে একটু সাহায্যের আশায়।
২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের তিন প্রার্থীর বিপরীতে বিএনপির একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন নাজিমউদ্দিন আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফাতেমা মনির। এর থেকে এই উপজেলায় আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সীমানা নিয়ে জটিলতায় আদালতে মামলা চলমান থাকায় গত ১২ বছর যাবত এরাই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার।
এদিকে চলমান লকডাউনে সদর উপজেলার অসহায় দরিদ্র মানুষকে সরকারের পাশাপাশি সাহায্য সহযোগিতা করছেন বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সামর্থবান ব্যক্তিবর্গ কিন্তু এ সময়ে দেখা মিলছে না তিন চেয়ারম্যানের। চেয়ারম্যান আজাদ বিশ্বাস বা তার দুই ভাইস চেয়ারম্যানের কাউকেই সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে উপজেলাবাসীর কাছে যেতে দেখা না যাওয়ায় অনেককে হাস্য তামাশা করে বলতে শোনা গেছে, নির্বাচজন হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় চেয়ারম্যানদের মধ্যে কোন তাগাদাও নেই।