নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান এক সময় ছিলেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক। সে সময়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কাছে ব্যর্থ নেতৃত্বের উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন সায়েম-মাহবুব জুটি। তাই তাদের কাছে প্রত্যাশা ছিলো স্বেচ্ছাসেবক দলে এসে তারা সে অপবাদ ঘুঁচিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু ছাত্রদলের ব্যর্থতা স্বেচ্ছাসেবক দলেও অব্যহত রেখেছেন তারা। এখনো পর্যন্ত কোন ইউনিট কমিটি দিতে পারেননি, থানা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে রীতিমতো পদ বানিজ্যেরও অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্র থেকে। এতে সভাপতি করা হয়েছিলো জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার সাদাত সায়েমকে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুর রহমানকে। কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন সালু, সহ সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও জাকারিয়া সালেহ স্বপন, যুগ্ম-সম্পাদক সরকারি তোলারাম কলেজের সাবেক জি এস শাহ আলম ও সালাহউদ্দিন দেওয়ানকে।
এরপর ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও ১৬ জন সহ-সভাপতি, সাতজন যুগ্ম-সম্পাদক, ১৬ জন সহ-সম্পাদক, নয়জন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ৭৬ জন সম্পাদক ও সহ-সম্পাদকসহ ৪৪ জনকে সদস্য করা হয়েছিলো।
কমিটি ঘোষনার প্রায় ৩ বছর হতে চললেও এখনো পর্যন্ত একটি থানা কমিটিও দিতে পারেনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। তাছাড়া আংশিক কমিটি থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময়েও সভাপতি-সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে বিশাল অংকের পদ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছিলো। সোনারগাঁয়ে এক আওয়ামীলীগের নেতাকে স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ দেয়া হয়েছিলো শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে, এমনি অনেক বিতর্কিত ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাসেবক দলে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জানান, সায়েম আর মাহবুব ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের এনে একের পর কর্মী সভা করে যাচ্ছে। আর এই কর্মী সভার কথা বলে থানা কমিটির পদ বেচার পাঁয়তারা করছে। একেকটি থানায় কর্মী সভা করে আর সে থানার পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে। এ পর্যন্ত যে কয়টি কর্মী সভা করেছে একটিও কমিটি তারা দিতে পারেনি। এমনকি কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়েও টাকা নিচ্ছেন তারা। ছাত্রদলের নেতৃত্বে থাকাকালীন যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন সায়েম-মাহবুব, স্বেচ্ছাসেবক দলেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে চলেছেন।