নারায়ণগঞ্জ মেইল: একেটি লকডাউনের ঘোষনা যেনো ঈদের আমেজ নিয়ে আসে সাধারণ মানুষের মাঝে। পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের মতো লকডাউনের ছুটি কাটাতে দল বেঁধে সব ছুটতে থাকেন গ্রামের উদ্দেশ্যে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। সরকার থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষনায় শহর ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে বাস না পেয়ে পণ্যবাহী ট্রাকে করে গ্রামের দিকে ছুটছেন নানা বয়সী নারী পুরুষ ও শিশু।
সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড ও চিটাগাং রোড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা, ফেনি, লক্ষ্মিপুর, নোয়াখালি, চাঁদপুর ও চট্রগ্রাম অভিমূখে যাওয়ার জন্যে শত শত মানুষ দাড়িয়ে থাকলেও দুর পাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পরতে হয় তাদের। এ সময় পণ্যবাহী বিভিন্ন ট্রাকের উপরে লাফিয়ে উঠতে দেখা যায় অনেককে।
নারায়ণগঞ্জ ছাড়ার কারণ প্রসঙ্গে লোকমান মিয়া বলেন, আমি মেসবাসায় থাকি। রান্না করার বুয়া না থাকায় এতদিন নিজে রান্না করে খেতাম। কিন্তু রোজার দিনে খুব কষ্ট হবে। আমার রুমমেটরা আগেই চলে গেছে। এখন আমার একা থাকা সত্যিই অনেক কঠিন। ফলে বাড়ি যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রায় একইরকম বক্তব্য ব্যাচলরদের অনেকের। রান্না, খাওয়ার সমস্যায় পড়ে তারা শহর ছাড়তে চান।
অন্যদিকে, আয় রোজগার কমে যাওয়া অনেকেই বাড়ি চলে যেতে উদ্যোগী হয়েছেন। ৬ বছরের ছেলে, স্ত্রীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছিলেন জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, শহরে থাকা মানেই তো খরচ। দুমাস ধরে কোনও আয় নেই। বাচ্চার জন্য বেশি কষ্ট হচ্ছে। বাড়িতে গেলে অন্তত নিজের বাড়ির শাকসবজি, ফলমূল খাওয়াতে পারবো। ট্রাকে স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে তিনি ছুটছেন কুমিল্লার দিকে।