নােয়াগাঁও ইউনিয়নে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমান

নারায়ণগঞ্জ মেইল: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সােনারগাঁ থানার নােয়াগাঁও ইউনিয়নে মােঃ ছাইদুর রহমান প্রচার প্রচারনায় এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করছেন। ৮০ দশকে সরকারী তোলারাম কলেজে ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে ১৯৮৯ সালে সােনারগাঁ থানা যুবলীগের সমাজ কল্যান সম্পাদক ও নােয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে নিয়ােজিত হন। তিনি এমন এক সময় নােয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের হাল ধরেছেন যখন মানুষ আওয়ামীলীগের নাম নিতে ভয় পেত, এবং নােয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অবস্থা অত্যান্ত নাজুক ছিল, যুবলীগেরতাে কোন কমিটিই ছিলনা। তিনি যুবলীগের প্রথম সভাপতি। যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দলের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, বলাযায় তার হাত ধরেই নােয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নতুন ভাবে জেগে উঠে গতিপায়। এর পর আর আওয়ামীলীগকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

১৯৯৯ সালে নােয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হলে মােঃ ছাইদুর রহমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এর পর ২০০২ সালে কাউন্সিল করে তিনি যুবলীগ থেকে অব্যাহতি নেন। বর্তমানে তিনি নােয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন এবং কিছুদিন হলাে তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ সভাপতি নির্বাচিত হন । মােঃ ছাইদুর রহমান আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে যেয়ে মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে, নির্বাচনের দিন নৌকা মার্কার প্রতিপক্ষের কেন্দ্র দখল করে সীল মারার প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ শুরু হয়, এবং তিনি মারাত্ত্বক ভাবে যখম হন।

২০০৬ সালে জোট সরকারের শেষ সময়ে
কাঁচপুরে জ্বালাও পােড়াও রাজনৈতিক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে মামলা নং সােনারগাঁ ২০(৬)২০০৬
আসামী নং ১৪৫। বর্তমানে তিনি ব্যবসা ও রাজনীতি দুটিই পুরােদমে চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০০০ সালের ফেব্ৰুয়ারী মাসে নিজে ১০০% রপ্তানীমূখী গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি সেলফ ফ্যাশন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও BKMEA এর একজন সদস্য। সােনারগাঁ উপজেলার নােয়াগাঁও ইউনিয়নে স্বরেজমিনে পরিদর্শন করে জনগনের সাথে আলাপ করে জানা যায় তিনি অত্যন্ত ভাল এবং জনদরদী ন্যায়পরায়ন আদর্শবান একজন মানুষ ।

জনগনের সাথে আলাপ করে জানা যায় ঐ এলাকার মসজিদ মাদ্রাসায় তিনি অনেক দান খয়রাত করেন এবং তার কাছে কেউ সাহায্য সহযােগিতার জন্য আসলে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। আওয়ামীলীগের যে কোন প্রােগ্রামে তাহার সহযােগিতা থাকবেই এটা সবাই ধরেই নেয়। তিনি আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, তিনি কখনই দলীয় পদপদবী নিয়ে ভাবেন না। জনগনের সাথে কথা বলে আরাে জানা যায়,মােঃ ছাইদুর রহমান যদি নির্বাচন করে তাহলে তার সাথে প্রতিদন্ধিতা করার মত প্রতিদন্ধী প্রার্থী নােয়াগাঁও ইউনিয়নে ২য়টি আর নেই। জনগনের মুখের কথা নােয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে মােট ৯টি ওয়ার্ড রহিয়াছে । তার মধ্যে ৯টি ভােট কেন্দ্র আছে, ৯টি ভােট কেন্দ্র থেকে ৭টি ভােট কেন্দ্রেই তিনি নিরুঙ্কুশ জয় পাবেন বাকী ২টি ভােট কেন্দ্রে তার সাথেই প্রতিদন্ধিতা হবে। আর যদি নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচন হয় এবং তিনি নৌকা প্রতীক পান তবে তিনি ৯টি কেন্দ্রেই পাশ করবেন।

ইনশাআল্লাহ। জনগন তার মতাে লােকই চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায়। তিনি একজন শিক্ষিত লােভহীন, ধার্মীক, নিরঅহংকার , ভাল মানুষ। জনগনের মুখে মুখে এখন একটাই নাম “ছাইদুর রহমান ভাইকে নৌকা মার্কা উপহার দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা ভাল মানুষকে মূল্যায়ন করবেন। নােয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সকল অঙ্গসংগঠন তার সাথে কাজ করছে।

মােঃ ছাইদুর রহমানের সাথে মুটোফোনে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন রাজনীতিতে এখন আর ভাল মানুষ আসতে চায়না আবার ভাল মানুষ না আসলে সমাজ পরিবর্তন ও সম্ভব না তাই এলাকার জনগনের কথা ও চাহিদা চিন্তা করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্য যাদের নাম শােনা যাচ্ছে। তাদের কেউ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত কেউ বা হাইব্রিড। আমি আশা করি, বিশ্ব মানবতার প্রতীক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে মূল্যায়ন করবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ