নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি এখন ব্যস্ত তাদের অধীনস্ত ইউনিট কমিটিগুলো গঠন করার কাজে। এ লক্ষ্যে ইউনিট ভিত্তিক উপ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন থানা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন হয়ে গেলে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির মূল কমিটি গঠন আর সে সম্মেলনে বর্তমান আহবায়ক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত দুইজন প্রার্থী হতে পারবেন না এমনটাই হওয়ার কথা থাকলেও এর উল্টোটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকার এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ দুজনই কমিটির সভাপতি হতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আর এ নিয়ে দুজনের মধ্যে রীতিমতো দ্বন্দেরও সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে প্রকাশ, কাজী মনিরুজ্জামান আর অধ্য্পাক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয় গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি। সীমাহীন ব্যর্থতায় দায় নিয়ে সরে যেতে হয় সে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। এর প্রায় ১০ মাস পর চলতি বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে আহবায়ক এবং অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ঘোষনা করা হয় জেলা বিএনপির ৪১ সদস্যের আহকায়ক কমিটি। পরে মাসুকুল ইসলাম রাজিবকে অন্তর্ভূক্ত করায় কমিটির পরিধি দাড়ায় ৪২ এ। আহবায়ক কমিটির অন্যরা হলেন- যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, আব্দুল হাই রাজু, লুৎফর রহমান আবদু, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান আবদু, জাহিদ হোসেন রোজেল, নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা। সদস্যরা হলেন- খন্দকার আবু জাফর, নজরুল ইসলাম টিটু, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, শরীফ আহমেদ টুটুল চেয়ারম্যান, মাহমুদুর রহমান সুমন, মোশারফ হোসেন, বশির উদ্দিন বাচ্চু, হাজী সেলিম, মোশারফ হোসেন (সোনারগাঁ পৌরসভা), আশরাফুল হক রিপন, ওয়াহিদ ইমতিয়াজ বকুল, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবু, দুলাল হোসেন, মো. কাশেম ফকির, ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, আব্দুল আজিজ মাস্টার, এম এ হালিম জুয়েল, গুলজার হোসেন চেয়ারম্যান, মো. শাহ আলম মৃধা, নুরুন্নাহার বেগম, একরামুল কবির মামুন, শাহ আলম মুকুল, মোস্তাকুর রহমান, রিয়াজুল ইসলাম, রহিমা শরীফ মায়া, রুহুল আমিন, কামরুজ্জামান মামুন, হামিদুল হক খান, মো. জাকির হোসেন, আল মুজাহিদ মল্লিক ও জুয়েল আহমেদ।
এ কমিটির উপর দায়িত্ব দেয়া হয় বিভিন্ন থানা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠনের পরে জেলা বিএনপির সম্মেলন আয়োজনের আর এ জন্যে সময় বেঁধে দেয়া হয় তিন মাস। আর সে সম্মেলনে এড. তৈমূর আলম খন্দকার ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদ সভাপতি সেক্রেটারী পদে প্রার্থী হতে পারবেন না বলেও জানানো হয়। কিন্তু তিন মাসের সিংহভাগ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোন থানা কমিটি গঠন করতে পারেননি তারা। উপরন্তু জেলা কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্যে দুজনই মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।