নারায়ণগঞ্জ মেইল: গত বছরের নভেম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়েছে। আর দীর্ঘদিন আগেই মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদ থাকা অবস্থায় জেলা আওয়ামীলীগের কয়েকটি ইউনিটের কমিটি দিলে ব্যর্থ মহানগর আওয়ামীলীগ। মহানগরের আওতাধীন ২৭ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নতুন করে সাজাতে পারেনি। জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ ছাড়াও যুবলীগের কমিটির মেয়াদ নেই। জেলা যুবলীগের প্রায় সব নেতাই মূল দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আর শহর যুবলীগের কমিটি এখনো মহানগর যুবলীগে রূপ নিতে পারেনি। যুবমহিলা লীগের পাল্টাপাল্টি দুটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরের কমিটিকে বৈধতা দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু গত কয়েক বছরেও আহবায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি।
কৃষকলীগের কমিটি নামে থাকলেও নেতারা লাপাত্তা। তাও আবার আহবায়ক কমিটি।
জানাগেছে, নারায়লগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ছাড়া আওয়ামীলীগের প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের বেহাল অবস্থা। রাজনীতির মাঠে প্রতিযোগীতায় নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। বছরের শুরুতেই যখন রাজপথে বিএনপির নেতারা শক্তির জানান দিতে বিশাল বিশাল শো-ডাউন করছে তখন দলীয় কোন্দল নিয়ে ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতারা। অথচ দল ক্ষমতায় থাকার পরও দিন দিন ছোট হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ। তবে সম্প্রতি জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের নতুন কমিটির ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিকে, থানা ও উপজেলা কমিটিগুলো গঠন হলেও এনিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। বিশেষ করে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনার পর থেকে বিতর্ক যেন শেষ হচ্ছে না। বিএনপি-জামাতের সক্রিয় নেতারাও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়েছে অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তবে বিএনপির মত আওয়ামীলীগের কমিটিও পুনর্গঠন করা হলে রাজপথে নেতাকর্মীরা সক্রিয় হবেন। তাই দ্রুত নতুন কমিটি গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রাপ্তি-প্রত্যাশা নিয়েও চলছে নয়া সমিকরণ। যারা এতোদিন পদের বাইরে থেকে দলের সব কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহন করেছে তাদের মধ্যে পদ প্রাপ্তি আকাঙ্খা জেগে উঠেছে।
এদিকে, জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পাশাপাশি নেতাদের বিভক্তির কারণে দল সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছে। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নিস্ক্রীয় নেতাদের সক্রিয় করতে এবং পদের বাইরে থেকে যারা দলের হয়ে রাজপথে সক্রিয় রাজনীতি করেছে তাদের মূল্যায়নের আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নেতাকর্মীদের নতুন করে সংগঠিত করতে একাধিক কর্মসূচির হাতে নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। যদিও গত আট বছরেও মহানগরের ২৭টি ওয়ার্ডে সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয়েছে মহানগর আওয়ামীলীগ।