নারায়ণগঞ্জ মেইল: দীর্ঘ আড়াই বছরে একটিও ইউনিট কমিটি দিতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে ছিটকে গেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে দেয়া হয় মহানগর যুবদলের কমিটি। এই আড়াই বছরে নিজেদের মাঝে বিভক্তি আর কোন্দলের জন্ম দেয়া ছাড়া শুধুমাত্র নিজেকে হাইলাইট করতে পেরেছেন খোরশেদ। যুবদলের সভাপতি খোরশেদের চেয়ে ব্যক্তি খোরশেদকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে যুবদলের নেতাকর্মীদের করেছেন বঞ্চিত। সকলকে আশা দিয়েও পারেননি কোন কমিটির অনুমোদন দিতে বরং বন্দর উপজেলা যুবদলের অধিকারটুকুও ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন খোরশেদ। মহানগরের কাছ থেকে সে অধিকার কেড়ে নিয়েছে জেলা যুবদল। তাই আপাদমস্তক ব্যর্থ খোরশেদের কারনে পুরো কমিটিকেই বিলুপ্ত করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল।
এদিকে মহানগর যুবদলের কমিটি বাতিলের পর থেকে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে কারা আসছেন নতুন কমিটিতে। কেন্দ্রীয় যুবদল সূত্রে জানা গেছে এখন আপাতত একটি ছোট আকারের আহবায়ক কমিটি দেওয়া হবে আর এ আহবায়ক কমিটির দায়িত্ব হবে ২৭টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের। এরপরে মূল সংগঠনের সম্মেলনের মাধ্যমে দেয়া হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
আপাতত আহবায়ক কমিটির পদ প্রাপ্তির দৌড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজনের নাম। তবে যারা এগিয়ে রয়েছেন তারা হলেন সাবেক ছাত্রদল সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, সাবেক কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সাধারণ সম্পাদক মমতাজউদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ।
এছাড়াও মহানগর বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর যুবদল নেতা রানা মুজিব, রশিদুর রহমান রশু, মহানগর ছাত্রদল নেতা রাফিউদ্দিন রিয়াদের নামও রয়েছে সম্ভাব্যদের তালিকায়।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে সভাপতি করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। কমিটির বাকী সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহ সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সাধারণ সম্পাদক মমতাজউদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু।
আংশিক কমিটি ঘোষনার ৫ মাস পর খোরশেদকেই সভাপতি রেখে ২০১ সদস্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে দেয়া হয় মহানগর যুবদলের কমিটি।