নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে কোনকালেই সক্রিয় ছিলেন না। তবে গ্রুপিং আর লবিংয়ে তিনি সিদ্ধহস্থ। আর এ পথ ধরেই জেলা যুবদলের সেক্রেটারীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। পদ আনতে পারলেও এ পদের কর্তব্য তিনি কোনকালেই পূরণ করতে পারেননি। অথচ সেইন্ট মার্টিনে দলবল নিয়ে অবকাশ যাপন করেন তিনি, ঘটা করে পিতার জন্মদিনও উদযাপন করেন। কিন্তু রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের সময় এলেই আর খোঁজ মিলেনা এই নিস্ক্রিয় নেতার।
জানা যায়, রূপগঞ্জ বিএনপির ধনাঢ়্য নেতা দিপু ভূইয়ার আস্থাভাজ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে গত কয়েক মাসের আন্দোলন সংগ্রামে একেবারেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার এলাকায় তারই রাজনৈতিক গুরু দিপু ভূইয়ার বাড়িতে আয়োজিত জেলা যুবদলের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন অথচ সোনারগাঁ থেকে সে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রূপগঞ্জে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন। দীর্ঘ ৩৫ দিন তিনি জেল খাটেন এ মামলায় আর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন খোকন।
এছাড়াও গত কয়েক মাসে জেলা বিএনপি ও জেলা যুবদলের বেশ কয়েকটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এসব কর্মসূচিতে পুলিশও আগের মতো মারমুখি ছিলো না। অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবেই সেসব কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। কিন্তু সেসব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে একদিনের জন্যেও আসেননি জেলা যুবদলের সেক্রেটারী গোলাম ফারুক খোকন। সংগঠনের বাকি নেতারা দুর দুরান্ত থেকে এসে কর্মসূচিতে যোগ দিলেও আসেননি খোকন। অথচ এরই মধ্যে দলবলসহ প্রবাল দ্বীপ সেইন্ট মার্টিনে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরতে যাওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। কিছুদিন আগে ঘটনা করে নিজের বাবার জন্মদিনের অনুষ্ঠানও পালন করেছেন তিনি। আর ফেসবুকে এসব ছবি দেখে নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পরেছেন। নিজের ব্যক্তিগত সকল সখ পূরণ করছেন অথচ গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও দলের জন্যে সময় দিতে পারেন না. যা নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণের সৃষ্টি করে। আর তাই মহানগর যুবদলের মতো জেলা যুবদলের কমিটিও ভেঙ্গে দিয়ে খোকনের মতো নিস্ক্রিয় নেতার হাত থেকে নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।