নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্লোগান দেন এবং এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান। নেতাকর্মীদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একাধারে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, মহান স্বধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, একজন সেনা প্রধান ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে শেখ মুজিবের নেতৃত্বের সরকার জিয়াউর রহমানকে বূর উত্তম খেতাবে ভ’ষিত করেছিলো। বর্তমান সরকার বলে তারা নাকি স্বাধীনতার পক্ষের সরকার কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব নিয়ে ছিনিমিনি খেলে এই সরকার প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীনতার পক্ষের সরকার নয়।
এড. সাখাওয়াত বলেন, সরকারের অবস্থা টালমাটাল তাই তাদের স্বৈরাচারী মনোভাব ফুটে উঠছে। বিশ্ব মিডিয়ায় তাদের অপকর্ম প্রকাশিত হওয়ায় জনগনের মনোভাব অন্যদিকে ফেরানোর জন্যে তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করতে চাচ্ছে। সরকার জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। তাই দেশের মানুষের মন থেকে শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তা মুছে ফেলার জন্যে তার খেতাব নিয়ে টালবাহানা করছে। আমরা আজকের এই সভা থেকে বলে দিতে চাই, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে অন্যথায় দেশের মানুষ রাজপথে নেমে আসবে এবং দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করবে। সেই সাথে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং নকল কারবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি এড. সরকার হুমায়ুন কবীর, মনির হোসেন খান, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজউদ্দিন মন্তু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. ওমর ফারুক নয়ন, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, বন্দর উপজেলা যুবদলের সম্ভাব্য আহবায়ক মহিউদ্দিন শিশির, সদস্য সচিব শাহীন আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক সম্রাট হাসান সুজন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক লিংকন খান, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি মীর আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি হযরত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক অপু রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষকদলের আহবায়ক জসিমউদ্দিন, সদস্য সচিব মনির প্রধান, মহানগর শ্রমিকদলের যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক লিংরাজ খান, ইব্রাহিম আহমেদ বাবু, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রাসেল প্রধান, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক নাইম খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক এইচএম হোসেন, মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর আলম, সদর থানা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন জ্যাকী, যুবদল নেতা সজিব খন্দকার, পলাশ প্রধান, রাজিব খান, রাজু আহমেদ, ছাত্রদল নেতা সীমান্ত, সাদিক, সিহাব, কিরন, হযরতসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।