নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এগারোটি অস্থায়ী পশুর হাটের মধ্যে নয়টির ইজারা সম্পন্ন হয়েছে। বাকী দুইটি হাট নির্ধারিত মূল্য না বসানোর কারনে পুন: দরপত্র অাহবান করা হয়েছে। মঙ্গলবার ২১ জুলাই দুপুরে সদর উপজেলায় ইজারা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
এবারের ১১টি হাটের মধ্যে সবথেকে বেশি মূল্যে হাট ছিলো কুতুবপুর ইউনিয়নরে আলীগঞ্জ নদীরপাড়ে মৃত হাফেজ মোক্তার এর নিজস্ব ভূমিতে। হাটটির সরকার নির্ধারিত মূল্য ৩৯লাখ টাকা হলেও ৭০ লাখ টাকায় আবু বক্কর নামে এক ব্যাক্তি ইজারা নেয়।
সদরে বাকী হাটগুলো হলো, গোগনগর ইউনিয়নের পলি ফ্যাক্টুরী সংলগ্ন আলী আকবর বেপারীর নিজস্ব ভূমির সরকার নির্ধারিত মূল্য ছিলো ৪৪হাজার ৬শ। ৪৫ হাজার টাকায় হাটটির ইজার নেন মোহম্মদ উল্লাহ আল মামুন। এ হাটে বাকী দুজন ২৫হাজার ও ২৪ হাজার টাকায় দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। একই ইউনিয়নের পুরান সৈয়দপুর এলাকায় আলী আকবর এর নিজস্ব জমিতে অস্থায়ী হাটটির সরকার নির্ধারিত মূল্য ছিলো ১লাখ ১৭হাজার ৭শ টাকা। যেখানে নাজির আহম্মেদ ১লাখ ১৮ হাজার টাকায় হাটটির ইজারা নেন। এছাড়া এ হাটে আরও দুজন ৭০হাজার ও ৮০ হাজার টাকায় দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। সৈয়দপুর পাঠান নগরের হাটটির মূল্য ৬০ হাজার ৫শ টাকা মূল্য থাকলেও ৬১হাজার ৫শ টাকায় হাটটির ইজারা নিয়েছেন সৌকত হোসেন।
বাড়ির টেক মাতবর বাড়ি হাটের মূল্য ৭৪হাজার ২শ টাকা নির্ধারিত মূল্য ছিলো। এ হাটে কেউ দরপত্র জমা না দেওয়ায় হাটটি ইজারা আপাতত স্থগিত করা হয়। গোগনগর বাদশা মিয়ার নিজস্ব জমির হাটের মূল্য ৪০হাজার ৯শ টাকা হলে ১শ টাকা বেশি দিয়ে ৪১হাজারে সাইদুর রহমান ইজারা নেন। চরসৈয়দপুর শান্ত ফিলিং ষ্টেশনের সাথের হাটটি ৬৫হাজার দাম ছিলে, যা খলিল মাতবর ৬৭হাজার ১শ ১টাকায় ইজারা নেন।
কাশিপুর ইউনিয়ন (ভূমি অফিস সংলগ্ন) মাঠে নির্ধারিত মূল্য ৩৫হাজার টাকা হলেও ৩টি দরপত্র দাখিল করলেও কেউ টাকার অংক উলেখ্য করেননি। যার করনে অপরিপূর্ণ সিডিউল হিসাবে তা বাতিল করে হাটটিকে আপাতত স্থগিত করা হয়। কুতুবপর শান্তিধারা এলাকার হাটটি ৬৪হাজার ৭শ টাকা নির্ধারিত মূল্য, ৭১হাজার ৫শ টাকায় আব্দুর রাজ্জাক বেপারী হাটটির ইজারা নেন। কুতুবপুর ইউনিয়নের পাগলা তালতলা সংলগ্ন প্যারাডাউস সিটি মাঠের হাটটি ৯৫হাজার ৫শ টাকার নির্ধারিত হলেও ২লাখ ১০হাজার টাকায় শাহ আলম গাজী টেনু হাটটি ইজারা নেন। কুতুবপুর ইউনিয়নের আলীগঞ্জ নদীর পাড়ে মৃত হাফেজ মোক্তার এর নিজস্ব ভূমির হাটটি ছিলো নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সবচেয়ে বেশি দাম, যার সরকার নির্ধারিত মূল্য ছিলো ৩৯লাখ, যা ৭০লাখে আবু বক্কর ইজারা নেন। এই হাটটিতে সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহেমা মনির ৬৩লাখ দরপত্র জমা দিয়েছিলো। বক্তাবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামে অস্থায়ী হাটের মূল্য ৫৫হাজার ৭শ টাকায় সাব্বির আহম্মেদ হৃদয় ৫৬হাজার টাকায় পেয়েছেন। জানা যায়, ১১টি হাটের মধ্যে ১৩০টি সিডিউল বিক্রি হয়। এবং ২৭টি সিডিউল ড্রপ করা হয়। এ সময়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক বলেন, স্থগিত করা বাকি হাটগুলার সিডিউল বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি করা হবে এবং রোববার সিডিউল উন্মুক্ত করা হবে। হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দরপত্র বাতিলের ক্ষমতা প্রশাসন বাতিল করা ক্ষমতা রাখে।