ফতুল্লার দুর্ধর্ষ জনি’র শেল্টার দাতা কারা?

নারায়ণগঞ্জ মেইল: ফতুল্লার বটতলা রেললাইন এলাকার পোকন হাজীর পুত্র জাহেদুল ইসলাম জনি দিন দিন ব্যপরোয়া হয়ে উঠছে। প্রভাশালীদের শেল্টার ও বিশেষ পেশার দুই ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় জমি দখল, সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা, ফ্যাক্টরি দখল করে সাব ভাড়া দেয়া, অবৈধ গ্যাস সংযোগে ফ্যাক্টরি পরিচালনা করা, জমির মালিকদের তুলে এনে জোর করে জমি লিখে নেয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে জনির বিরুদ্ধে। এমনকি গত বৃহস্পতিবার জনির ফ্যাক্টরির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এসে জনির সন্ত্রাসীদের দ্বারা অবরুদ্ধ ও লাঞ্চিত হয়েছিল তিতাসের কর্মকর্তারা। অথচ প্রভাব খাঁটিয়ে সেই ঘটনা ধামাচাপা দেয়াসহ প্রতারণার মাধ্যমে পুনরায় গ্যাস সংযোগ নেয়ার চেষ্টা করছেন জনি।

সম্প্রতি চাচা কসুরউদ্দিন মাস্টারকেও মারধর করেছে জনি। জোর করে জমি লিখে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন জনি। নানা অপকর্মের অভিযুক্ত জনির প্রভাবে আশেপাশের জমির মালিকরা বিপাকে রয়েছে। জনির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই বিশাল ক্যাডার বাহিনীর দ্বারা প্রতিবাদকারীদের নানা ভাবে হয়রানি করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জানাগেছে, ফতুল্লার বটতলা রেললাইন এলাকার ‘চাঁদ নীট কম্পোজিট ইউনিট টু’ ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন। প্রায় দুই কোটি টাকা গ্যাস বিল বকেয়া থাকার কারণে গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির গ্যাস লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এয়ার নীট কম্পোজিট নামের ডাইং ফ্যাক্টরিটি ভাড়া নিয়ে জাহেদুল ইসলাম জনি ওরফে মোল্লা জনি চাঁদ নীট কম্পোজিট ইউনিট টু নামে প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে আসছে। এয়ার নীট কম্পোজিটের মালিক মুজিবুর রহমান সোহেলের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রুনু বেগমের কাছ থেকে ১৫ মাস আগে ফ্যাক্টরির সকল যন্ত্রপাতিসহ মাসে পাঁচ লক্ষ টাকায় ভাড়া নেন জাহেদুল ইসলাম জনি। অথচ বকেয়া গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন জাহেদুল ইসলাম জনি। প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া নেয়ার পর জাহেদুল ইসলাম জনি পৃথক ভাবে বিভিন্ন জনের কাছে সাব ভাড়া দেয়। ফ্যাক্টরির পাশেই ৪৫ শতাংশ একটি জমি দখল করে সেখানেও সাব ভাড়া দিয়েছেন। অথচ জমির মালিক এব্যাপারে প্রতিবাদ করায় তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল জনির ক্যাডার বাহিনী। বিধবা নারী ও তার সন্ত্রানদের তুলে এনে জমি লিখে নেয়ার চেষ্টাও করেছিল। জনির ভয়ে বিধবা নারীর সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েগিয়েছিল। মূলত বিশেষ পেশার দুই ব্যক্তির সহযোগীতায় অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জনি। তবে তিতাস কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ ও লাঞ্চিত করার ঘটনায় কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় জনির দাপট বেড়েছে আরো বহুগুন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ