নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে পূর্বাচলে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে শর্ট সার্কিট থেকে বসতঘর আগুন লেগে প্রতিবন্ধী-শিশুসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলা পূর্বাচলে ১১নং সেক্টর কুমারটেক গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
নিহতরা হলেন- পূর্বাচলে ১১নং সেক্টর কুমারটেক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মাছুম মিয়া (৪০), প্রতিবন্ধী স্ত্রী সীমা আক্তার (৩২) এবং এই দম্পতির প্রতিবন্ধী দুই ছেলে রহমতুল্লাহ্ (১৮) ও আব্দুল্লাহ্ রাসেল (১২) ।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদের ও পূর্বাচল মাল্টিপারপাস ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার উদ্দীপন ভক্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাছুম মিয়ার বাড়ির ওপর দিয়ে ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) একটি লাইন নেওয়া হয়েছিল। তার নিচ দিয়ে নেওয়া হয় পল্লী বিদ্যুতের সমিতির (পবিস) আরেকটি লাইন। শুক্রবার রাত ৯টার সময় ডেসকোর লাইনটি ছিঁড়ে পল্লী বিদ্যুতের লাইনের উপর পড়ে। এ সময় তারগুলোর নিচে থাকা মাসুম মিয়ার বসতঘরের ওপর পড়লে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস নিহত মাছুম মিয়া প্রতিবন্ধী স্ত্রী সীমা আক্তারকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। তবে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সীমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্বাচল মাল্টিপারপাস ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার উদ্দীপন ভক্ত বলেন, “রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ ও মৃত অবস্থায় বাবা ও দুই ছেলেসহ তিনজনকে এবং একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আশেপাশের বাড়িতে আগুন ছড়াতে পারেনি।”
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদের বলেন, “বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে বাড়ির মালিক মাছুম মিয়া ও তাদের ২ প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় নিহত মাছুম মিয়ার স্ত্রী সীমা আক্তারকে হাসপাতালে নেওয়ার হলে তাকেও মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে