নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি দেয়ার পরে এবার মহানগরের কমিটি ভেঙ্গে নতুন করে আহবায়ক কমিটি দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটির বিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান থাকায় মামলা নিস্পত্তি করে মহানগরের কমিটি খুব শীঘ্রই দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। আর সে কিমিটিতে সাবেক জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজিব গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন বলে জানিয়েছে সে সূত্র।
জানা যায়, সদ্য ঘোষিত জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে এক ঝাঁক নিষ্ক্রিয় নেতাকে পদায়ন করা হলেও রাখা হয়নি রাজপথের পরীক্ষিত নেতা ও কর্মী বান্ধব মাসুকুল ইসলাম রাজিবকে। দীর্ঘদিন ছাত্ররাজনীতিতে সফল নেতৃত্ব দেয়ার পর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল রাজীবের কিন্তু অদৃশ্য হাতের ইশারায় এবার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান হয়নি তার। রাজীবকে মাইনাস করায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বিএনপির তৃনমূল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজিব ভক্তরা প্রতিবাদের ঝড় তুলছেন।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে এক দল অযোগ্যদের ভীড়ে রাজিবের মতো পরীক্ষিত নেতাদের না থাকাটাই সম্মানের হয়েছে। বরং এই অযোগ্যদের মিছিলে রাজিবকে রাখা হলে তাকেও একই সারিতে মূল্যায়ন করা হতো। আর তাই এই নিষ্ক্রিয় নেতাদের সাথে মাসুকুল ইসলাম রাজিবওক না রেখে কেন্দ্র বরং রাজিবের সম্মানটা রক্ষা করেছেন এ যাত্রায়।
সূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জে ছাত্র নেতা হিসেবে তুখোড় জনপ্রিয় মাসুকুল ইসলাম রাজিব রাজিব। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিবীদ তৈরীর সুতিকাগার সরকারী তোলারাম কলেঝের ভিপি থাকায় রাজিবের রয়েছে এক বিশাল কর্মীবাহিনী। অনেকের কাছে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের সোনালী অধ্যায়ের নাম মাশুকুল ইসলাম রাজিব। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে আন্তরিকভাবে মিশে গিয়েছিলেন রাজিব, তাদের বিপদ আপদে ঝাঁপিয়ে পরেছেন। বর্তমানেও সেই ধারা অব্যহত রেখে চলেছেন যার ফলে তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকনে পরিনত হয়েছেন মাশুক রাজিব ওরফে ভিপি রাজিব। ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে আহবায়ক করে ঘোষনা করা হয় জেলা ছাত্রদলের কমিটি। এ কমিটি চারবছর চলার পরে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় রাজিবকে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি পূণর্গঠনের খবরে সরব হয়ে উঠেছেন রাজিব ভক্তরা। নতুন কমিটিতে মাশুকুল ইসলাম রাজিবকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চান তারা। বর্তমান কমিটির সিনিয়র নেতাদের দিনের পর দিন ব্যর্থতা, স্বজনপ্রিতি আর লোক দেখানো ফটোসেশনের অবসান ঘটিয়ে রাজপথে ঝড় তুলতে রাজিবের বিকল্প দেখছেন না তরুণ প্রজন্মের জিয়ার সৈনিকরা। তাই করা বুড়ো অচল নেতাদের বাদ দিয়ে রাজিবের নেতৃত্বে আগামী দিনে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে ঝাঁপিয়ে পরার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের এই দাবীটি তুলে ধরছেন এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। রাজিবের মতো সাহসী নেতার হাতে দায়িত্ব তুলে দিলে নেতাকর্মীরা সব রাজপথে ছুটে আসবে এবং নারায়ণগঞ্জ থেকেই খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা আন্দোলনের সূচনা হবে বলে বিশ্বাস তৃণমূলের।