নারায়ণগঞ্জ মেইল: প্রায় এক বছর কমিটি ছিলো না নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন জাতীয় ও দলীয় কর্মসূচিও তারা পালন করতে পারেনি। নেতাকর্মীরা উন্মুখ হয়ে ছিলো একটি কমিটির যাতে করে তারা কর্মসূচিগুলোতে অন্তত দলের নামে একটু শ্লোগান দিয়ে রাজপথে থাকতে পারে। অবশেষে এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে আহবায়ক এবং অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয় এবং নেতাকর্মীরাও প্রাণ ফিরে পায়। গত ১১ জানুয়ারি নতুন কমিটির প্রথম কর্মসূচির দিন তাই নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কের উপর দাড়িয়ে ঘন্টাকালব্যাপী মানববন্ধন পালন করেছে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীর্ াপ্রায় এক বছর পর জেলার কর্মসূচি থাকায় নেতাকর্মীরাও ছিলো উজ্জীবিত।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলেও তাদের কর্মকান্ডে নেই কোন গতি। কমিটির শীর্ষ দুই নেতা সভাপতি এড. আবুল কালাম ও এটিএম কামালকে ছাড়াই কর্মসূচি পালন করতে হয় নেতাকর্মীদের। এড. আবুল কালাম কোন কারন ছাড়াই কর্মসূচিগুলোতে অনুপস্থিত থাকেন আর সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালতো বছর খানেক যাবত দেশেই নেই, অবস্থান করছেন সুদুর আমেরিকায়। আর তাই অভিবাবকহীন সন্তানের মতো কোনরকমে দায়সারাভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকার পরেও দায়িত্বজ্ঞাণহীন পরিচালনার কারনে লাইফ সাপোর্টে চলে গেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে ছাড়াই কোন রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। কেন্দ্রীয় কোন কর্মসূচি দিলে দায়সারাভাবে কয়েকজন মিলে একটি ব্যানার নিয়ে চিপা গলিতে ফটোসেশন করেই বিদায় নেন। কয়েকটি কর্মসূচিতো তারা মহানগর ছেড়ে ফতুল্লায় নতুন কোর্টের সামনে গিয়ে পালন করেছে। আর সবচেয়ে হতাশ করেছে গত সোমবার ১১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে। একই কর্মসূচি সকালে জেলা বিএনপি পালন করেছে ব্যস্ততম বঙ্গবন্ধু সড়কে দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত যান চলাচল বন্ধ রেখে আর বিকেলে মহানগর বিএনপি প্রেসক্লাবের পিছনের গলিতে কোন রকমে দাড়িয়ে দশ মিনিট বক্তব্য দিয়েই সটকে পরেছে।
সূত্রে প্রকাশ, গেলো বছরে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। করোনার লকডাউনের সময় থেকেই নিজেকে লকডাউন করে ফেলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালাম। অসহায় সাধারণ মানুষতো দুরের কথা, দলীয় নেতাকর্মীরাই কোথাও খুঁজে পাননি তাকে। আর সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালতো সুময় খারাপ বুঝে উড়াল দেন সুদুর আমেরিকায়। এখ নপর্যন্ত সেখানেই আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
করোনার লকডাউন চলাকালে মহানগর বিএনপির দুস্থ্য নেতাকর্মীদের মাঝে বিতরণের জন্যে আড়াইহাজার বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ ১ লাখ টাকা দেন এটিএম কামাল আর আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে। সেই টাকা নিয়ে কেলেংকারীর সৃষ্টি হয় নেতাকর্মীদের মাঝে। কাশাল-টিপু সেই টাকা নেতাকর্মীদের না দিয়ে নিজেরাই কয়েকজনে মিলে ভাগ বাটোয়ারা করে খেয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ জানায় বঞ্চিত তৃণমূল।