নারায়ণগঞ্জ মেইল: জামাতের সক্রিয় সদস্য আশরাফুল আলমকে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত করায় কাশীপুরের সর্বত্র চলছে সমালোচনা। ত্যাগীদের বাদ নিয়ে একজন আওয়ামীলীগের অনুপ্রবেশকারীকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি দেয়া দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাথারণ মানুষও সমালোচনা করছেন। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের নয়া কমিটির এক শীর্ষ নেতা জানান, আশরাফুল আলমকে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদে দেখে আমরা সবাই অভাক হয়েছি। তিনি জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার দুই ভাতিজা জামাতের রোকন সদস্য ছিলেন। মূলত দশম জাতী সংসদ নির্বাচনের পর জামাত-শিবিরের নাশকতা ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান শুরু করতে তখন আশরাফুল তার নিজ বাড়ি ছেড়ে চাষাড়া চলে গিয়েছিলেন। নিজের গ্রেফতার এড়াতে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম. সাইফুল্লাহ বাদলের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেন।
জানাগেছে, বিগত দিনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ কিংবা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেওফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়েছে আশরাফুল আলমকে। কাশীপুর বাংলাবার রোড প্রেসিডেন্ট বাড়ি এলাকার মনসুর প্রেসিডেন্টের পুত্র আশরাফুল আলম। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে কোন সময়ই সম্পৃক্ত ছিলেন না তিনি। বিএনপি-জামাতের অর্থ যোগান দাতা হিসেবে এলাকায় পরিচিতি রয়েছে আসরাফুল আলমের। তার দুই ভাতিজা জামাতের রোকন সদস্য বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। যার মধ্যে একজন বিদেশে অবস্থান করছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এলাকায় ফিরে আসলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতার কারণে ফের বিদেশ চলে যান জামাতের ঐ রোকন সদস্য। বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার নগরেও ছিল। এমন একটি পরিবারের সদস্যকে থানা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেয়ায় এনিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যিনি আওয়ামীলীগের কোন রাজনীতির সাথেই ছড়িত ছিল না এমন ব্যক্তিকে কেন পদ দেয়া হল-এমন প্রশ্ন সাধারণ কর্মীদের। এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, আসরাফুল আলম আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিবেন। তাই নৌকা প্রতীক পেতে সভাপতি এম. সাইফুল্লাহ বাদলের আশির্বাদে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদ পেয়েছেন তিনি। সাইফুল্লাহ বাদল আগামীতে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ না নিলে আশরাফুল আলমকে সমর্থনও দিবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এব্যাপারে আশরাফুল আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি মোবাইল ফোনে মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করে এই প্রতিবেদকে বাংলাবাজারের উজির আলী স্কুলে দেখা করতে বলেন।