দুশ্চিন্তায় আসাদ চেয়ারম্যান!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই চিন্তিত হয়ে পড়ছেন সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট আবেদনটি খারিজ হওয়ার পর থেকেই অনেকটা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কাশীপুর ও বক্তবলী ইউনিয়নের মত এবার বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বিজয়ী হতে ইতিমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।

গত পাঁচ বছরের ব্যর্থতার কারণে আসাদুজ্জামানের প্রতি স্থানীয় ভোটাররা নাখোশ থাকায় দলীয় প্রতীক নিশ্চিতের পাশাপাশি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আগামীতেও চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। গত পাঁচ বছরে এলাকাবাসীর উন্নয়ণ না হলেও তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে আসাদুজ্জামান। করোনা পরিস্থিতিতে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দেখা যায়নি আসাদকে। যা নিয়ে ক্ষোভ বেড়েছে আরো বেশি।

এছাড়াও তবে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী মাঠে না নামলেও ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়াও আরো কয়েকজন শক্তশালী প্রার্থী এনায়েতনগর ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যাম পদে ভোট যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যা নিয়ে চিন্তিত রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান।

জানাগেছে, আগামী মাসেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনের বেশি সময় না থাকলেও প্রার্থীরা এখনো মাঠে নামেনি। তবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিশ্চিত করতে গোপনে গোপনে দৌড়ঝাপ করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন দলীয় প্রতীক নৌকা পেলেই বিজয় নিশ্চিত। তাই ভোটারদের কাছে না ছুটে দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন দলীয় প্রতীক নিশ্চিতে। তারই ধারাবাহিগতায় প্রতীক নিশ্চিত করতে এনায়েতনগর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ভোটারদের গুরুত্ব না দিয়ে প্রভাবশালী মহলের সাথে যোগাযোগ করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, এক সময় জাতীয় পার্টি পরবর্তিতে বিএনপির রাজনীতি করতেন আসাদুজ্জামান। আনুমানিক ১৯৯৯ সাথে ধর্মগঞ্জে ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে নিজের অবস্থান শক্ত করতে আওয়ামীলীগে যোগদেন আসাদুজ্জামান। এরপর পিছনে তাকাতে হয়নি আসাদুজ্জামানের। ঐসময় দুর্ধর্ষ হিসেবে পরিচিতি ছিল তার। পরে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপরই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান তিনি। নদী দখলসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তাই ভোটররা তার প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই ভোটারদের কাছে না ছুটে প্রভাবশারী ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করছেন। যদিও তার অনুসানিরা বলে বেড়াচ্ছেন, ভোটাররা না চাইলেও আগামী নির্বাচনেও দলীয় প্রতীক পাবেন আসাদুজ্জামান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ