নারায়ণগঞ্জ মেইল: সদ্য ঘোষিত জেলা বিএনপির কমিটিতে এক ঝাঁক নিষ্ক্রিয় নেতাকে পদায়ন করা হলেও রাখা হয়নি রাজপথের পরীক্ষিত নেতা ও কর্মী বান্ধব মাসুদুল ইসলাম রাজিবকে। দীর্ঘদিন ছাত্ররাজনীতিতে সফল নেতৃত্ব দেয়ার পর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল রাজীবের কিন্তু অদৃশ্য হাতের ইশারায় এবার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান হয়নি তার। রাজীবকে মাইনাস করায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বিএনপির তৃনমূল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজিব ভক্তরা প্রতিবাদের ঝড় তুলছেন। তেমনি এক কর্মী আবুল হাসনাত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর আবেগঘন একটি চিঠি লিখেছেন যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। আবুল হাসনাতের সেই খোলা চিঠিটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
“প্রিয় তারুণ্যের অহংকার, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক দেশনায়ক তারেক রহমান,
স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও মমতাময়ী দেশমাতা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখন আপনিই৷
কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সর্বোচ্চ আশ্রয়স্থল ও আস্থাশীল রাজনৈতিক দল হওয়া সত্বেও এ দলটির অভ্যান্তরিন বিষয়গুলো হয়ে যাচ্ছে এলোমেলো ও লাগামহীন।
আন্দোলন সংগ্রামে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেও পরিচয়হীনতার অভিশাপে জর্জরিত হচ্ছে ত্যাগী নেতাকর্মীরা। কমিটি কমিটি খেলায় চলছে অর্থ আর স্বার্থের জয়জয়কার। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে কি আপনি আসলে জানেন? আমরা তো মনে করি আপনি হয়তো নবীন-প্রবীন দলের সব নেতাকর্মীদের সব খবরই রাখেন। তাহলে এ অমানবিক বিষয়গুলো নেতাকর্মীদের সাথে কেন হয় প্রিয় নেতা? বলতে পারেন?
আপনি তো না জানার কথা নয়।
সদ্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষনা হয়েছে, অথচ দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেও পরিচয়হীনতার কষাঘাতে জর্জরিত হতে হয়েছে তরুণ নেতৃত্বের আইকনিক ব্যাক্তিত্বকেও। দলের জন্য যে মানুষটা বারবার হয়েছে হামলার স্বীকার, ২০১৫ তে ৫ জানুয়ারি সারা দেশ যখন ঘরে বন্দী তখন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে যে মানুষটা শত শত নেতা কর্মি নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েও দলীয় আদর্শকে জলাঞ্জলি দেন নি সে মানুষটাকেও দেয়া হয় নি সামান্যতম স্বীকৃতিও। কারণ, রাজিব তো মমিনউল্লাহ ডেবিটের উত্তরসূরী, তিনি তো অনিয়ম আর নোংরামি লোক দেখানো নেতৃত্বকে প্রশ্রয় দেন না, তাকে মাইনাস না করলে তো স্বার্থের রাজনীতি নারায়ণগঞ্জে চলবে না।
তাই তো ডেবিটের মতোই ঝেড়ে ফেলতে হবে রাজিব দেরকেও।
যাতে দল মাথা উচু করে দাড়াতে না পারে আর কয়েক যুগেও।
রাজিবদের হাতে নেতৃত্ব আসলে তো তারুণ্য জেগে উঠবে সাহসী হয়ে, তারুণ্যের জেগে ওঠা রুদ্ধ করতে চায় কারা দেশনায়ক?
বলতে পারেন?
কিছু ব্যক্তি স্বার্থান্বেষী মানুষের ষড়যন্ত্রে নারায়ণগঞ্জ এর মাটি থেকে ডেবিটদের মতো সাহসী দলপ্রেমি নেতাদের হাড়িয়েছি,
এখন আবার সেই অপশক্তির উত্থান।
এর শেষ কোথায় দেশনায়ক?
প্রাণের রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের আস্থা ও ভরসার দলটি কি এভাবেই নেতৃত্ব সংকটে পিছিয়ে পড়তে থাকবে?
এভাবেই কি দলের প্রতি আস্থা নষ্ট হতে থাকবে ত্যাগী নেতাকর্মীদের? এ জবাব কে দেবে দেশনায়ক? এ প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?