অধিনায়ক সের্হিয়ো রামোস জানিয়ে রেখেছিলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই করতে চান শিরোপা উদযাপন। ২ পয়েন্টের সমীকরণ মিলিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে স্প্যানিশ ফুটবলের সিংহাসনের বসতে তর সইছিল না রিয়াল মাদ্রিদের। ফর্মের তুঙ্গে থাকা মাদ্রিদের অভিজাতরা কথা রেখেছে। ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ারকে ২-১ গোলে হারিয়ে জিতে নিয়েছে ২০১৯-২০ মৌসুমের লা লিগা। তাতে আবারও স্পেনের ‘রাজা’ রিয়াল মাদ্রিদ।
করিম বেনজেমার জোড়ায় ‘লস ব্লাঙ্কোস’ জিতলো ৩৪তম লা লিগার শিরোপা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার চেয়ে আট শিরোপা বেশি। স্তাদিও আলফ্রেদো স্টেডিয়ামে শেষ বাঁশি বাজতেই তাই উৎসবের নগরী মাদ্রিদ। দুই মৌসুম অপেক্ষা শেষে আবারও যে এসেছে লিগ শিরোপা। বার্সেলোনাকে পেছনে ফেলে এক ম্যাচ আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে জিনেদিন জিদানের দল।
রিয়ালের সামনে ছিল সহজ সমীকরণ- জিতলেই শিরোপা। ভিয়ারিয়াল শক্ত প্রতিপক্ষ হলেও ঘরের মাঠ ও চলমান ফর্মে বৃহ্স্পতিবার রাতেই উৎসবের সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল রিয়াল। বেনজেমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্রত্যাশিত জয়ে লিগ পুনরুদ্ধারের আনন্দে মাতে তারা। ফরাসি স্ট্রাইকারের দুই গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ প্রায় শেষ পর্যন্ত নিজেদের কাছে রেখেছিল রিয়াল। শেষ দিকে ভিয়ারিয়াল এক গোল করলেও তাতে শিরোপা উৎসবে বাধা পড়েনি কোনও।
২৯ মিনিটে বেনজেমা পান প্রথম গোল। এরপর ৭৭ মিনিটে জয়ের ভিত শক্ত হয় ফরাসি তারকার পেনাল্টি গোলে। রামোস একাদশে ছিলেন, এরপরও স্পট কিক নিয়েছেন তিনি। লা লিগার সর্বোচ্চ গোলের প্রতিযোগিতায় থাকতেই হয়তো পেনাল্টি নিয়ছেন বেনজেমা। তার স্পট কিকের রেকর্ড কিন্তু দুর্দান্ত, শতভাগ সফল। রিয়ালের হয়ে লা লিগায় নেওয়া ১০ পেনাল্টির প্রত্যেকটি জালে জড়িয়েছেন এই স্ট্রাইকার।
সবচেয়ে লম্বা লিগ জিতলো রিয়াল। গত বছরের ১৭ আগস্ট সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে শুরু করা লা লিগায় ১১ মাস পর পেলো পুরস্কার। মাঝে করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ ছিল তিন মাস। মূলত বিরতির পর থেকেই অপ্রতিরোধ্য তারা। গত মার্চে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে যারা বার্সেলোনা থেকে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল, সেই তারাই ৭ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে এক ম্যাচ হাতে রেখে জিতলো শিরোপা।
বিরতির পর খেলা ১০ ম্যাচে তাদের জয়ের রেকর্ড শতভাগ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মাদ্রিদ ছাড়ার পর রিয়ালের গোলসংখ্যা কমে গেছে, তবে এমন ধারাবাহিক রিয়ালকে গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। যার পুরো কৃতিত্ব পাবেন কোচ জিদান। দুই দফায় রিয়ালের কোচ হিসেবে তিনি জিতলেন ১১ শিরোপা।