নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিএনপির আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি গঠনকল্পে ৯ ডিসেম্বর বুধবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির প্যানেলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্টের উল্টো দিকের একটি চাইনিজ রেস্তোরায় প্রায় আড়াই শতাধিক আইনজীবীর উপস্থিতিতে এই পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন মিয়া।
সভায় অ্যাডভোকেট সালাউদ্দীন ভুঁইয়া সবুজের শ্রুতিমধুর সঞ্চালনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লার সভাপতিত্বে পরিচিতি সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট কেএম সুমন।
এ ছাড়াও হুমায়ুন-জাকির প্যানেলের ৫ আইনজীবীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে বক্তব্য রাখেন- অ্যাডভোকেট সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন, অ্যাডভোকেট শাহআলম মিয়া, অ্যাডভোকেট কাউসার আলম চৌধুরী টুটুল, অ্যাডভোকেট আলম খান, অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার, অ্যাডভোকেট ফাতেমা মাসুদ, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুর গাফফার, অ্যাডভোকেট গোলজার হোসেন, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক আলমগীর, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, জেলা শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ সহ অন্যান্য সিনিয়র ও জুনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্যানেল পরিচিতি সভায় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির সকলের কাছে ভোট প্রার্থনা করে বলেন, গত ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে রাতের জাতীয় নির্বাচন হলো। সেই নির্বাচনের পর আইনজীবী সমিতির নির্বাচন, সেই নির্বাচনে কেউ প্রার্থী হতে চাইলো না, কেউ দাঁড়ানোর সাহস পাচ্ছিল না, সাহসী লোকের অভাব ছিল, তখন সেই সময় আওয়ামী সরকারের রক্তচুক্ষুর সামনে আমি ও সরকার হুমায়ুন কবির নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আপনারা আমাদের পাশে ছিলেন, অনেক ভয় ভীতি হুমকি ধমকির মাঝে আমরা নির্বাচন করেছি, কিন্তু আওয়ামীলীগ আমাদের জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। আমরা সেই সময় নির্বাচন করেছিলাম। তাই বলতে চাই ফোরামের সম্মেলনে আপনারা সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় আনবেন।
নির্বাচনে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় আমাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট আসে, যে সকল রিপোর্ট আসে আমরা কিন্তু সেই সব বিষয়ে কোন তথ্য সাংবাদিকদের দেইনা। আমরাও অনেক তথ্য দিতে পারতাম। আমরা ফোরামে নির্বাচিত হলেও কারো বিরুদ্ধে নূন্যতম কোন বক্তব্য দিব না, আমরা ধরে নিব সকলেই আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমরা কারো বিরুদ্ধে এখনও বলছিনা, সম্মেলনের পরেও বলবো না। আমরা বারের গত দুই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম, আমরা পরাজিত হলেও কখনও বলিনি উনি আমাকে ভোট দেয়নি, আমরা ধরে নিয়েছি আপনারা সকলে ভোট দিতে পারলে আমরা নির্বাচিত হতাম। ফোরামে নির্বাচিত হলে আমরা সকলকে নিয়ে কাজ করবো। সকলের কাছে আমাদের নিবেদন আমাদের কোন ভুলভ্রান্তি থাকলে ক্ষমা করে দিয়ে আমাদের ভোট দিবেন।