প্রধানমন্ত্রীর নামে কটুক্তি করলে গর্দান নামিয়ে ফেলবো: হেলাল

নারায়ণগঞ্জ মেইল: কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে মৌলবাদীদের হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।

রোববার ৬ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু নেতৃত্বে হাজারো নেতা-কর্মী নিয়ে মিছিলে বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিআইটি চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচী শেষ হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকিরুল আলম হেলাল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন জুয়েল, প্রচার সম্পাদক আব্দুর কাদির, নারায়ণগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ইউসূফ মেম্বার, ১২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সেলিম খান, ১৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহজালাল প্রধান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ১৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ শাহীন, ১৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাইউম পারভেজ, ১৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন ভূইয়া, ১৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান সহ যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা প্রমুখ।

জাকিরুল আলম হেলাল বলেন, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ দু’ভাগে বিভক্ত। একটা হল স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি আরেকটা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-কে যখন গ্রেপ্তার করে ছিলো, তখন শামীম ওসমানের নিদের্শে এই যুবলীগের সাজনু, নিপু, জুয়েল ও কাদেরের নেতৃত্বে লিংক বন্ধ করে দিয়েছিল, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে পতন করে ছিলো। শামীম ওসমান যতদিন থাকবে, ততদিন স্বাধীনতা পক্ষে কাজ করে যাবে।

ওই জামায়াতের ইসলাম ও ভাস্কর্য বিরোধীদের প্রতিহত করবো, ইনশাআল্লাহ। ভাস্কর্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা বসতে পারবেন। আপনার কি করলেন বিএনপি-জামায়াতর খালেদা জিয়া গান পাউডার দিয়ে মানুষ পুড়ে হত্যা করত, তখন কোথায় ছিলেন।

একবারও তো রাস্তা মিছিল বের করেন নাই। আমরা কি কোরআন পড়ি না, আমরা কি সালাত আদায় করি না? নারায়ণগঞ্জের জনগণের কাছে স্পর্শ ভাবে বলতে চাই, শামীম ওসমান যে কথা টি বলেছেন- প্রধানমন্ত্রী নামে কোন কুটক্তি করলে তার গর্দান নেমে ফেলবো। কিছু পত্রিকা লিখছে, প্রধানমন্ত্রী কথা শামীম ওসমান শুনবেন না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের অনেক দাবি বাস্তবায়ন করে ছিলেন, আপনাদের কি মনে নাই। আমার যারা আছি, আপনাদের জন্য যদি মাঠে নামি তাহলে রাজাকার ও বলৎকার দেশে থাকতে পারবে না। স্বাধীনতা শক্তি হল ঈমানের শক্তি, নবীজী উম্মের শক্তি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন তারা কোথায় ছিলেন বিএনপির জিয়ার ভাস্কর্য নির্মাণ কালে। এখন দেশকে পিছনে ফেলে নিতে আপনারা বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য নিয়ে আপনাদের মাথা ব্যাথা হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমান সরকার নেতৃত্বে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা।

তার আস্থাভাজন একেএম শামীম ওসমান থাকতে নারায়ণগঞ্জে কোন মৌলবাদীদের স্থান নেই। আপনারা আমাদের মাঠে নামতে বাধ্য করবেন না, মাঠে নামলে আপনারা পালাবার পথ পাবেন না। আপনারা শেখ হাসিনার জন্য ধৈর্য্য ধরেছেন, ধৈর্য্য ধরেন, এই দেশের যে কোন কুটক্তিকারী স্বাধীনতা শক্তি পক্ষের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু বলেন, জাতির জনকের ভাস্কর্য ভেঙ্গে নদীতে ফেলে দিবে এমন ঘোষনা পর যুবলীগ নেতা-কর্মী যে ভাবে রাস্তা নেমেছে, আপনাদের দেখে বুঝে নিন। যে বঙ্গবন্ধু জণ্য এই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার ঘোষনা দেয়, তখন নিজের কাছে লজ্জা লাগে।

কুষ্টিয়ায় যেভাবে রাতে আধারে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলেছে। সেটা সেই ৭১ সালের রাতে ঘটনা মনে পড়ে যায়। ১৯৭৫ সাল আর ২০২০ সাল এখন নয়। এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, স্বাধীনতা শক্তির বাংলাদেশ। ভাস্কর্য নিয়ে তারা শক্ত অবস্থানে যেতে পারেন, আগামী দিনে ধর্ম ব্যবসায়ীরা ফের বলবে শহীদ মিনারে শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা যাবে না।

বিএনপি-জামায়াতের পথ নিয়ে আপনারা ভাস্কর্য ভাঙ্গতে মেতে উঠেছেন? পরিণত ভালো হবে না, কুষ্টিয়াতে যারা বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভেঙ্গেছেন তাদের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করছি। আপনারা একেক সময় একেক দাবি নিয়ে মাঠে নামেন, সেগুলো পূরণ করে দেয় কে?

আপনাদের কোন দাবি থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাথে আলাপ করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে আপনারা বিভিণ্ন স্থানে উল্টা পাল্টা কথা বলে যাচ্ছে, তা কিন্তু বরদাশ করা যাবে না। আপনারা আর কোন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়লে ছাড় দেয়া হবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ