মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা আওয়ামী লীগ ‘ব্যর্থতাই অর্জন’

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের পর এর জেলা আওয়ামীলীগের মেয়াদ উর্ত্তীল হলো। গত তিন দিন আগে জেলা আওয়ামীলীগের মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়েছে। আর গত তিন বছরে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে ব্যর্থ হয়েছেন। কমিটি ঘোষনার পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোন কর্মসূচীতে সকল নেতাদের একত্রে দেখা যায়নি। কমিটি ঘোষনার পর থেকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা। আর বিভক্তির করণে জেলা আওয়ামীলীগের শূণ্য ছয়টি পদ পূরণ হয়নি। বরং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে বিভেদ বেড়েছে নেতায় নেতায়। সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সম্মেলন থেকে শুরু করে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতির চিঠি ইস্যুসহ বিভিন্ন কারণে নেতায় নেতায় বিভেদ সৃষ্টি হয়ে আসছে। একে নেতা অপর নেতাকে উদ্দেশ্য করে বিষোদগারও করছেন। শীর্ষ নেতারা দলকে সুসংগঠিত করার পরিবর্তে বিভাজনে সরব ছিলেন। যা নিয়ে সাধারণ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

জানাগেছে, ২০১৭ সালে ২৬ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ৭৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রর্। যার মধ্যে ছয়টি পদ শূর্ণ ছিল। এর আগে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর আবদুল হাইকে সভাপতি, সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সহ সভাপতি এবং আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামীলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।

সূত্র বলছে, সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর বলয় ছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগে পৃথক আরো দুটি বলয় তৈরী হয়েছে। যার একটির নেতৃতাব দিচ্ছেন সভাপতি আব্দুল হাই। যার ফলে তিনি কখনোই একক ভাবে শামীম ওসমান কিংবা মেয়র আইভীর পক্ষে না থেকে নিজের অবস্থান থেকে দলের স্বার্থে কাজ করছেন। যদিও তাই নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। মূলত সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদলের জন্যই বিভিন্ন সময় বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়েছে আব্দুল হাইয়ের। বিতর্কিত জিকে শামীমের সাথে সাক্ষাৎ, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে অব্যাহতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তার নেপথ্যে সাধারণ সম্পাদকের কারসাজিতে হলেও দায় নিয়েছে সভাপতিও।

সূত্রে আরো জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রণভোমরা শামীম ওসমান। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক। জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনেই তার যথেষ্ট প্রভাব। দলের অপর নেতা সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী নিজস্ব বলয় নিয়ে আলাদাভাবে রাজনীতি করছেন। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা সভাপতি আবদুল হাই, সহসভাপতি সিটি মেয়র আইভী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত বাদল। জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শামীম ও আইভী দ্বন্দ্ব থাকলেও শামীম ওসমান বলয়ে রয়েছেন অধিকাংশ নেতা। আর মেয়রের বলয়ে যারা রয়েছেন তারা অধিকাংশই কর্মীবিহীন। কর্মীবিহীন নেতাদের নিয়েই দাপটে রয়েছেন মেয়র আইভী। তবে জাতীয় রাজনীতিতে শামীম ওসমানের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়েছে শামীম অনুসারিরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ