নারায়ণগঞ্জ মেইল: প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে টালমাটাল গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশেরও দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রদূর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনায় মৃত্যু আর আক্রান্তের সংখ্যা। নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই নারায়ণগঞ্জ এক সময় করোনার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত ছিলো। এবারো নারায়ণগঞ্জে করোনার প্রকোপ বাড়তির দিকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
করোনার এই মহামারির মধ্যেই নারায়ণগঞ্জে অত্যাধিক হারে বেড়েছে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব। একদিকে করোনা অন্যদিকে ডেঙ্গুর ভয়ে দিশেহারা নারায়ণগঞ্জবাসী। অথচ গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্বও বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া না হলে এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। করোনার কারণে সব ‘ফোকাস’ সেদিকে চলে গেছে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের দিকটা দুর্বল হওয়ার শঙ্কা তাদের।
অত্যাধিক ঘনবসতির জেলা নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু রোগের ধারক বাহক এডিস মশার উৎপত্তি ও বংশ বিস্তারের সুযোগ অনেক বেশী। তাছাড়া করোনার ভয়ে নারায়ণগঞ্জের বেশীরভাগ মানুষই তাদের নিজ গৃহে অবস্থান করছেন, ফলে মশার উৎপাদনস্থলগুলো থেকে যাচ্ছে অরক্ষিত, সেখানে মানুষের যাতায়াত না থাকায় দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার সংখ্যা। আর এসব মশার অত্যাচারে অতিষ্ট নারায়ণগঞ্জের মানুষ। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মশার উৎপাত অনেক বেড়ে গেছে। সেই সাথে বেড়েছে ডেঙ্গুর আশংকা। কিন্তু করোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের দিকে নজর নেই সিটি কর্পোরেশনের। ফলে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেড়েই চলেছে নগরবাসীর।
এদিকে, মশা প্রতিরোধে ব্যর্থতার পর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর তেমন দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। যা নিয়ে মেয়র আইভীকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন নগরবাসী।
মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে নাসিকের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডেই ৫জন করে লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে মশার ওষূধ ছিটানোর জন্যে। এদর দুইজন ড্রেনগুলিতে তেল দেয় এবং বাকী তিনজন হ্যান্ড স্প্রে দিয়ে ওষুধ ছিটায়। এছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার আশ্রয়স্থল ধ্বংসের জন্যে নাসিকের টিম কাজ করছে।