নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়নের প্রাথমিক তালিকায় থাকা শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদের সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে। অনেকে মনে করছেন এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সাথে তার ঘনিষ্ঠতার কথা নিজের মুখেই স্বীকার করলেন মাসুদ। এতদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা প্রচার হয়েছে তা সত্য বলে স্বীকার করে নিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে এমপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপিদের মন্ত্রী এমপিদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ছবি দেখিয়ে সেসব অনুষ্ঠানে কেনো গিয়েছিলেন তা ব্যাখ্যা করেন। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের তথাকথিত গডফাদার ওসমান পরিবারের সাথে থাকা তার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিগুলোর কথাও অকপটে স্বীকার করেন শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান।
এ সময় মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, “সে সময়ে স্রোতের বিপরীতে চলা খুব কষ্টসাধ্য ছিলো, তাই আমি যেতে বাধ্য হয়েছি।” আর এভাবেই তিনি কখন কোথায় আপোস করেছেন তার বর্ণনা তুলে ধরেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদের এই বক্তব্যে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিএনপি তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের মতে, মাসুদের এই বক্তব্যে নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কারণ দীর্ঘ ১৭ বছর স্রোতের বিপরীতে গিয়েই স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীরা। হামলা মামলার শিকার হয়েছেন, জেল খেটেছেন, ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থেকেছেন তবুও স্বৈরাচারের সাথে আপোষ করেননি। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তিনিও জেল খেটেছেন, হাসপাতালে থেকেছেন তবুও ফ্যাসিস্টের সাথে কোনো আপোষ করেননি অথচ বিএনপি’র একজন এমপি প্রার্থী মুখে শুনতে হয় তিনি স্রোতের বিপরীতে চলতে পারেননি তাই আপোষ করেছেন। এটা দলের নেতাকর্মীদের জন্য চরম লজ্জাজনক।
তৃণমূল মনে করে, আগামী সংসদ নির্বাচনে দেশের সাধারণ মানুষ গত ১৭ বছর যাদের রাজপথে দেখেছেন তাদের মধ্যে থেকে একজনকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চায়। তাই বিএনপির দলীয় মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকায় যাতে রাজপথের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয় সেই দাবি জানিয়েছেন তারা।
