নারায়ণগঞ্জ মেইল: দলীয় মনোনয়ন পেতে না পেতেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন সোনারগাঁয়ের মান্নান ও তার স্বজনসহ অনুসারীরা। মেয়ের জামাতাও যেন আরও এক কাঠি সরেস! গণসংযোগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমত ভোটারদের মারধরের হুমকি দিচ্ছেন প্রকাশ্য জনসভা থেকে। এতে মান্নান তথা বিএনপিকে ঘিয়ে স্থানীয় ভোটারদের মাঝে তুমুল সমালোচনা চলছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন আগ্রাসী ও জ্ঞ্যানহীন বক্তব্যের দরুণ মান্নানের অনুসারীরা ধানের শীষকে যেন ডুবিয়েই ছাড়বে।
জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাতে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি। এই তালিকায় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ঘোষণা করা হয় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নাম। এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। মান্নানের আত্মীয়-স্বজন ও তাদের অনুসারীরা প্রচার-প্রচারণার নামে রীতিমত দাম্ভিকতা ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি মান্নানের বড় মেয়ের জামাতা মাসুম বিল্লাহ সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে গণসংযোগ করতে গিয়ে সাধারণ ভোটারদের প্রতি হুমকি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তার মেয়ের জামাতা বলেন, ‘সাবধান হুশিয়ার। এটা লাস্ট ওয়ার্নিং। এরপর আর কোনো ওয়ার্নিং হবে না। মান্নান সাহেবের পক্ষে কাজ না করলে আপনাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে বলছি।’
মান্নানের এই জামাতা সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়নের বিএনপির সমর্থকদের দালাল উল্লেখ করে অন্যান্য প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি ছাড়া করার হুমকি দিয়ে বলেন, এই সনমান্দি ইউনিয়নে কিছু দালাল রয়েছে। যারা টাকা খেয়ে দলের বিরুদ্ধে কাজ করে। তাদের সকলকে হুশিয়ার করছি। সাবধান। মান্নানের পক্ষে কাজ না করলে আপনাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে বলছি।
মান্নানের মেয়ের জামাতার এমন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সাধারণ ভোটারদের মাঝেও দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। তারা বলছেন, মনোনয়ন পেতে না পেতেই মেয়ের জামাতার এই হুমকি শুরু হলো, সেখানে নির্বাচনের পর মান্নান ও তার সন্তানসহ তার অনুসারীদের ভূমিকা কী হবে, তখন কী বিএনপি করেও এলাকায় থাকতে পারবে মানুষ? সেই প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় ভোটারদের মাঝে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্জিত ভাষায় মানুষকে ধানের শীষের পক্ষে আনার জন্য কাজ না করে এভাকেব হুমকি দিয়ে গেলে মান্নানের হাতেই সোনারগাঁয়ে ডুবতে পারে ধানের শীষের প্রতিক। ফলে এই বিষয়ে দলের দায়িত্বশীল সিনিয়র নেতাদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
