নারায়ণগঞ্জ মেইল : আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে থাকলেও সম্প্রতি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল বাদলের প্রধান সহযোগী ও থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম। কাশীপুরে নানা অপকর্মের মূলহোতা আশরাফুল কতিপয় বিএনপির নেতাদের ম্যানেজ করে ফের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে কাশীপুর ঈদগাহ্ মহাফেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আশরাফুলের ভাতিজাকে। এরআগে এই কমিটির সভাপতি ছিলেন আশরাফুল।
আত্মগোপনে থাকা আশরাফুল প্রায় সময় গভীর রাতে নিয়মিত বাংলাবাজার আসেন বলে নিশ্চিত করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানাগেছে, ২০১৪ সালে ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর মন্ডল বাড়ি এলাকার আব্দুল জলিলকে হত্যা করেও অর্থ ও ক্ষমতার প্রভাবে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন কাশীপুর বংলাবাজার রোড প্রেসিডেন্ট বাড়ি এলাকার মৃত মনসুর প্রেসিডেন্টের পুত্র ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম। এরপরই ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদলের সাথে আতাঁত করে ভূমিদস্যুতা থেকে শুরু করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি কৌশলে মসজিদের জমিও আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে আশরাফুলের বিরুদ্ধে ।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আশরাফুল আলম আত্মগোপনে থাকলেও স্থানীয় বিএনপির নেতাদের সাথে আতাঁত করে ফের এলাকায় ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ২৮নং আসামী করা হয়েছে আশরাফুলকে। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে নিহত মিনারুলের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
২০ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী রুটের আমিন নগর পাওয়ার হাউজের সামনে আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ও চারিদিকে গুলি ছুড়তে থাকে। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তার ভাই মিনারুলের শরীরে গুলি লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, হত্যা মামলার আসামী হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে গেলেও ফের প্রকাশ্যে এসেছে আশরাফুল আলম।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রলীগকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করার অভিযোগর রয়েছে আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে।