নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের নানা দূর্ণীতি তুলে ধরে নানাভাবে আলোচনায় উঠে আসেন নির্বাসিত বাংলাদেশি সাংবাদিক যিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমকর্মী জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামি। রাস্ট্রের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিদের নানা দূর্ণীতির চিত্রও ব্যাপক চাঞ্চল্যের ঝড় তুলেছেন তিনি । এবার নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি নজরুল ইসলাম আজাদকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন তার ফেসবুক পেইজে । যা মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার লাইক কমেন্টস আর শেয়ার হচ্ছে মুহূর্তে মুহূর্তের ।
সেমাবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিএনপির দলীয় প্যাডে উল্লেখ করে আগামী নির্বাচনে কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন তার একটি নিশ্চিত নাম প্রকাশ করা হয়েছে । যদিও এই প্যাড ব্যবহার করে ভূয়া নাম ব্যবহার হয়েছে বলেও দাবী করেছেন অনেকেই। এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ২ আসন অর্থাৎ আড়াইহাজারের মনোনয়ন নিশ্চিত হয়েছে নজরুল ইসলাম আজাদের নাম। এমন প্রচারের কয়েক ঘন্টার মধ্যে জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামি তার ফেসবুবক পেইজে দিলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির অনেকে নেতাই বলেন, এতো প্রভাবশালী নেতাদের নিয়ে এমন খবর সত্যিই তদন্তের দাবী রাখে।
জুলকারনাইন সায়ের এর পোষ্ট করা প্রতিবেদন নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো :
বিভিন্ন নামীদামী ব্রান্ডের গাড়ি ব্যবহারে নজরুল ইসলাম আজাদ (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক) এর জুড়ি মেলা ভার। নেতা মানুষ তিনি দামি গাড়িতে চড়তেই পারেন, তবে এই গাড়িগুলোর একটিও তাঁর নিজস্ব নয়। সংযুক্ত ছবির সবগুলো গাড়িই আজাদ ব্যবহার করেন — এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর মধ্যে তিনটি গাড়ি কোন রকমের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই (শো-রুম/গ্যারেজ) এর নম্বর ব্যবহার করে চলছ, যা নিয়মবহির্ভূত, ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার গাড়িটি যমুনা ইলেকট্রনিক্স এন্ড অটোমোবাঃ এর নামে রেজিস্ট্রেশন করা, ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার গাড়িটি বিতর্কিত সাইফ পাওয়ার গ্রপের প্রতিষ্ঠান সাইফ পোর্ট হোল্ডিংস এর নামে রেজিস্টার্ড।
উল্লেখ্য গতকাল সাইফ পাওয়ার থেকে ৪১.৭৫ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ ও আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর মার্সিডিজ জি ওয়াগনটি কেমা ট্রেডিং এবং বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হক এমপি এর নামে নিবন্ধিত।
প্রশ্ন হলো, একজন রাজনীতিবিদ, যিনি সাধারণ মানুষের জন্যে রাজনীতি করেন বলে দাবি করেন, তিনি কিভাবে এসব কোটি-কোটি টাকা মূল্যের গাড়িতে যাতায়াত করে তাঁদের কাছে পৌঁছাবেন ? আর তাঁর আয়ের প্রকৃত উৎসই বা কি ? এবং কেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং গাড়ির শো-রুম তাঁকে এসব মূল্যবান সব গাড়ি সরবরাহ করবে এবং তাঁর এসব ব্যবহার ঠিক কতটা নৈতিক ?