ফতুল্লা প্রতিবেদক: ফতুল্লার দাপা-রেল স্টেশন এলাকায় বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা।বিশেষ করে ফতুল্লার দাপা,বেপারীপাড়া,রেলস্টেশন, পিলকুনি,ব্যাংককলোনী,জোড়পুল সহ আশ পাশ এলাকায় চুরি,ছিনতাই,মাদক ব্যবসা,ব্ল্যাক মেইলিং সহ নানা সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডের জন্ম দিয়ে স্থানীয়বাসীর জীবন যাত্রাকে করে তুলেছে অসহনীয় যন্ত্রণাময়। আর তাই কিশোর গ্যাং সদস্যদের গ্রেফতারে জেলা আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয়রা।
জানা যায়,দাপা বেপারীপাড়ার বাংলা মদ বিক্রেতা জলিল ওরফে বাংলা জলিলের পুত্র জয়ের নেতৃত্বে রেলস্টেশন জোড়পুল এলাকার আব্দুল হাইয়ের পুত্র জয়,ওলুর পুত্র শুভ(১),নিজামের পুত্র শুভ(২),খালেকের পুত্র হাসান, রানা, লিটন, ইসমাইল, সোহেল, চোরা সুমন, আলামীন, ফয়সালসহ আরো ১৫/২০ মাদকাসক্ত উঠতি বয়সীরা সরকারদলীয় প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, ব্ল্যাক মেইলিংসহ নির্বিঘ্নে জন্ম দিচ্ছে সমাজ বিরোধী নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড।রাতের অন্ধকারে গার্মেন্টস ফেরত নারী শ্রমিকরা যেমন নিরাপদ নয় তেমনি সাধারণ পথচারীরাও তাদের হাতে জিম্মি।তারা নারীদের শ্লীলতাহানির হানী করার পাশাপাশি কেড়ে নিয়ে যায় মোবাইল ফোন,নগদ টাকা,স্বর্নালংকার।পথচারীদের নিকট থেকে ও ছিনিয়ে নেয় মোবাইল ফোন সহ নগদ টাকা- পয়সা।কখনো পথচারীদের নিকট টাকা পয়সা না থাকলে তাকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করে তার পরিবারের নিকট থেকে দাবী করা হয় মোটা অংকের টাকা।তাদের হাতে নাজেহাল হলেও প্রভাবশালী মহলের ভয়ে নির্যাতিত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েও টু শব্দটি পর্যন্ত করেনা কেউ। কেউ কেউ থানায় অভিযোগ করলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় নির্যাতিত- ভুক্তভোগীদের অধিকাংশরাই আইন সাহায্যের প্রার্থী হচ্ছেনা।
অপরদিকে সামাজিক এবং প্রশাসনিক ভাবে এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় দিনকে দিন এরা হয়ে উঠেছে অতিমাত্রায় বেপোরোয়া। জয় বাহিনীর ৩ সদস্য গনধর্ষনের মতো অপরাধের জন্ম দিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আটক রয়েছে।অপহরন ও মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় এই বাহিনীর অপর দুই সদস্য জেলা কারগারো আটক রয়েছে।প্রতিদিনই এরা জন্ম দিচ্ছে একাধিক মারামারি সহিংসতার ঘটনা।সর্বশেষ এরা শাকিল নামক একজনকে পাচ হাজার টাকা চাঁদার দাবীতে মারধর করে ছিনিয়ে নিয়েছে মোবাইল ফোন।এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ গ্রহণ করেনি কার্যকরী কোন পদক্ষেপ।বেশ কিছুদিন পূর্বে এই বাহিনীর বেশ কয়েক সদস্য গার্মেন্টস ফেরত এক নারীকে জোড় পূর্বক তুলে নিয়ে রেল লাইন জোড়পুল সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষণ করতে চাইলে স্থানীয় এক সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঐ তরুনীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসলেও তরুনীটির মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় জয় বাহিনীর সদস্যরা।এভাবেই তারা প্রতিনিয়ত জন্ম দিচ্ছে নানা অপরাধ।
