স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। মুক্তিযোদ্ধারা সমগ্র বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছিলো। কোনো নির্দিষ্ট একটি জেলা বা উপজেলার স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেনি। যুদ্ধ করে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি, যে দেশের নাম বাংলাদেশ। এদেশ আমাদের সকলের। দেশকে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। সেটা শুধুমাত্রই প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। তাই একজন সংসদ সদস্য একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে এলেও তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের। তিনি পুরো দেশের জাতীয় সংসদের সদস্য।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ মাষ্টারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (২৭ জুন) বাদ জুম্মা সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মহজমপুর এলাকায় এ আয়োজন করা হয়।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালে আমি যখন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়েছি তখন প্রথম এসেছিলাম এই সোনারগাঁয়ে। এখান থেকে গিয়ে ভারতে দুই মাস ট্রেনিং শেষ করে কমান্ডার হিসেবে এই সোনারগাঁয়ে ক্যাম্প করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সাত মাস আমি এই সোনারগাঁয়ে কাটিয়েছি, হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছি। তাই সোনারগাঁবাসীর সাথে আমার সম্পর্ক নতুন নয়। তাছাড়া গত সরকার বিরোধী আন্দোলনে সোনারগাঁ বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আমার সাথে রাজপথে আন্দোলন করেছে। মিটিং মিছিল করেছে, মামলা হামলা খেয়েছে। সোনারগাঁয়ে আমার অনেক কেস পার্টনার আছে, জেল পার্টনার আছে। অনেকের সাথে জেল খেটেছি।
তিনি বলেন, আমি কয়েকদিন আগে আড়াইহাজারেও গিয়েছি। সেখানকার নেতাকর্মীদের কাছেও নির্বাচনের জন্য গণসংযোগ করেছি। আড়াইহাজার একটি নির্বাচনী এলাকা। এই এলাকা থেকে বিএনপি যাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেবে, আমরা সবাই তার পক্ষে কাজ করবো এবং ধানের শীষকে বিজয়ী করবো। তেমনিভাবে আমি বন্দরে যাই, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর সবখানে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাই। আমরা যারা বিএনপি করি এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। এই সোনারগাঁয়ে অনেক নেতাকর্মী ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে আমাকে সোনারগাঁয়ের এমপি হিসেবে দেখতে চায় দাবী জানিয়েছে। আমি তাদেরকে বলবো আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। দল যদি আমাকে সোনারগাঁ থেকে মনোনয়ন দেয়, আমি আপনাদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করব।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সহিদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম প্রধান, সম্মানী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রমজান সরকার, সোনারগাঁ থানা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব বাবুল হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম মোল্লা, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান আপেল, সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক রবিউল প্রধানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ।