নারায়ণগঞ্জ মেইল: জেলা যুবলীগের কমিটি থাকলেও নেতা নেতৃত্ব। কেননা নেতারা এখন আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তবে জেলা যুবলীগের ব্যানারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছেন। এরই মধ্যে জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আর সেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুই সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। জেলা ছাত্রলীরে সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, সাবেক সভাপকি সাফায়েত আলম সানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, আহাম্মেদ কাউছার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান নান্নুসহ বেশ কয়েকজন জেলা যুবলীগের কমিটি নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি হচ্ছে এমন গুঞ্জন বার বার উঠলেও বাস্তবে নতুন কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। জেলা যুবলীগের নেতারা মূল দলের পদে থাকায় নেতৃত্বশূণ্য হয়ে পড়েছে জেলা যুবলীগ। জেলা যুবলীগের নেতারা মূল দল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় জেলা যুবলীগের ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগের নেতারা। জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলালসহ যুবলীগের অধিকাংশ নেতাই আওয়ামীলীগের পদে রয়েছেন।
এদিকে, জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিভিন্ন সময়ে কমিটি নতুন কমিটির খবর ছড়িয়ে পড়লেও তা আর বাস্তব রূপ নিতে পারেনি। বিগত দিনের মত ফের জেলা যুবলীগের কমিটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওেয়ার আগেই জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি আসছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। আর নতুন কমিটির নেতৃত্বে আসবে একদল তরুন নেতা। যারা এতোদিনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছে আসছে। এদের মধ্যে জেলা যুবলীগের সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু’র। এছাড়া সাফায়াত আলম সানী সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যুবলীগের তৃনমূলের অভিযোগ, জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের একঘেয়ামীর কারণেই এতোদিন জেলা যুবলীগের রাজনীতিতে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসেনি। বর্তমানে নেতৃত্ব থাকা নেতারা যৌবন পার করে বার্ধ্যকে পোছালেও তারা পদ আকড়ে রেখে নতুন নেতৃত্ব তৈরীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। এর ফলে পদে না থেকে দীর্ঘদিন ধরে যারা যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছে তাদের মধ্যে হতাশা বৃদ্ধি পায়।
তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখতে হলে যুবলীগকে নতুন করে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। সূত্রমতে, দীর্ঘ অনেক বছর ধরে জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব পরিবর্তন ও নতুন নের্তৃত্ব গড়ে না ওঠায় যুবলীগ নিয়ে নেতাকর্মীরা অনেক তিক্ত বিরক্ত। জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব পরিবর্তন না হওয়ার ফলে জেলা যুবলীগে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসছে না দীর্ঘদিন ধরে। যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা বয়সের ভারে অনেকটা নূজ্য। এদিকে ভিপি বাদল ও আব্দুল কাদির আওয়ামী লীগের পদ পাওয়ার পর থেকে যুবলীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টরা যুবলীগের রাজনীতিতে নতুন নেতৃত্ব দেখতে চায়। যা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তবে এবার নতুন কমিটির বিষয়টি জোড়ালো হচ্ছে।