আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া তৈমূরপন্থীরা

নারায়ণগঞ্জ মেইল: গণতন্ত্র চর্চায় নির্বাচন হলো অন্যতম অনুসর্গ। যে কোন সংগঠনে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়মিত থাকলে সে সংগঠনে গণতন্ত্র সুসংহত থাকে এবং সকলের মতামতের যথার্থ প্রতিফলন ঘটে। আর তাই বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের রাজনৈতিক প্লাটফরম জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন দেয়ার বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যই একমত। কিন্তু তাতে বাধ সাধছেন নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের অভিভাবক এড. তৈমূর আলম খন্দকার ও তার অনুসারীরা। নিজেদের উপর আস্থার অভাব ও সাধারণ আইনজীবীদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা না থাকায় নির্বাচনের বিরোধীতা করছেন তারা এবং ইলেকশনের বদলে সিলেকশনে একটি গোজামিল গঠনের পায়তারা করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর এ লক্ষ্যে আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জোর লবিং চালানোর পাশাপাশি নিজ গুটিকয়েক অনুসারী নিয়ে নারায়ণগঞ্জেও একের পর গোঁপন সভা করে যাচ্ছেন এড. তৈমূর। যে কোন মূল্যে আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া এখন পুরো তৈমূর শিবির।


সূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ার রাজনীতিতে একটা শক্ত অবস্থান ছিলো বিএনপির। যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বার নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে বরাবরই এগিয়ে থাকতো তারা। কিন্তু এখন সেই দিনগুলিই যেন সুদুর অতীত হয়ে যাচ্ছে তাদের কাছে। আর এর জন্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি না থাকাকে অনেকাংশে দায়ী করছেন অনেকে। তাছাড়া আদালতপাড়ার রাজনীতি নিয়ন্ত্রনে বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি ছিলো জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। আইনজীবী ফোরামের মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জের আদারথপাড়ার রাজনীতিতে একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করতে সমর্থ হয়েছিলেন বিএনপির আইনজীবীরা। ফলে ক্ষতায় যে কোন দলই থাকনা কেন, আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিএনপিরই থাকতো বেশীরভাগ সময়ে।


কিন্তু গত কয়েক বছরে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বিএনপির সেই শক্ত অবস্থান নষ্ট হয়ে গেছে। আর এ জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সণের উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকারের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব আর অদূরদর্শী কর্মকান্ডকে দায়ী করছেন বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা। আদালতপাড়ার রাজনীতিতে কতৃত্ব ফলানোর লক্ষ্যে অদক্ষ ও অজনপ্রিয়দের নেতার আসনে বসানোর চেষ্টা করছেন বর্ষিয়ান এই আইনজীবী। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বিতর্কিত নেতা ও মাত্র দু বছর হলো আইনজীবী সনদ পাওয়া এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে নেতা বানানোর চেষ্টা করেন এড. তৈমূর। ফলে দলের সিনিয়র থেকে জুনিয়র সকল আইনজীবীদের মধ্যে এর প্রভাব পরছে শোচনীয়ভাবে।


জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে চেয়ারপার্সণের উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকার আদালতপাড়ার রাজনীতিতে সব সময়ই ছিলেন সক্রিয়। নারায়ণগঞ্জ আদালতে শক্ত অবস্থানে থাকা বিএনপি’র আইনজীবীদের ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করা আর দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করার কারনে এড. তৈমূর আলম খন্দকারের পাশ থেকে সরে আসতে থাকেন শহীদ জিয়ার আদর্শের আইনজীবীরা। আর নিজ নিজ বলয় সৃষ্টি করে আইনজীবীবের মাঝে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ধরা পরে যাওয়ায় অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পরেন এড. তৈমূর, সেই সাথে আদালতপাড়ার রাজনীতিতে পিছিয়ে পরতে থাকে বিএনপি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ