চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণা করা রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম (মো. সাহেদ) যত বড় ক্ষমতাবানই হোক না কেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার (১০ জুলাই) ধানমন্ডির বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যকেও ছাড় দেননি। দলীয় নেতাদেরও তিনি ছাড় দিচ্ছেন না। যার (সাহেদ) কথা বলছেন, যত বড় ক্ষমতাবানই হোক না কেন, যদি প্রমাণিত হয়— তাকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাকে (সাহেদ) ধরার জন্য অনুসন্ধান চলছে। র্যাব ও পুলিশ উভয়েই খুঁজছে। আমরা মনে করি খুব শিগগিরই তথ্য দিতে পারবো।’
গত ৭ জুলাই উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের অভিযান চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাহেদের ফোন দেওয়ার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘‘আমি ফোন দিয়ে তার হাসপাতালে রোগী ভর্তি করি। সেই সুবাধে আমাকে ফোন দিয়েছিল। বলেছিল—‘হাসপাতাল সিল করে দিচ্ছে।’ আমি বলেছি—আপনি নিশ্চয়ই কোনও অন্যায় কাজ করেছেন, এ জন্য সিল করছে। বিনা কারণে তো সিল করে না।’’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সে (সাহেদ) বললো, আমি তাহলে কী করবো? আমি বললাম, হয় আপনি ফেস করেন, আপনার যদি কিছু বলার থাকে কোর্টে যান। এটুকুই আমি বলেছি।’
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ দেওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।