নারায়ণগঞ্জ মেইল: সিলেকশন নয়, ইলেকশনের মাধ্যম নারায়ণগঞ্জ দর্জি কর্মচারী ইউনিয়ন ( রেজিঃ নং ৩২৯৮) এর সভাপতি নির্বাচিত করার দাবি জানিয়েছে দর্জি শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে সাধরণ দর্জি শ্রমিকদের পক্ষে প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি মোঃ সোহেল আহম্মেদ জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার, সদর মডেল থানা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সহ বিভাগীয় শ্রম পরিচালক এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে, এই ইউনিয়ন এর সদস্যদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা রিসিট ছাড়াই অবৈধ ভাবে আদায় করা হচ্ছে । ইউনিয়নের কোনো হিসাবপত্র ওডিট প্রদান করে না। একটি স্বাধীন ইউনিয়রের পরিবর্তে পূনরায় পেশীশক্তির মাধ্যমে যিম্মি করার প্রচেষ্টা চলছে।
এ অবস্থায় ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন হওয়া আবশ্যক। যেন গণতান্ত্রিক পন্থায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নেতৃত্ব পরিবর্তন হয় তার সু-ব্যবস্থা করা । প্রতিষ্ঠত সময়কাল থেকে রিসিটের মাধ্যমে সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে ইউনিয়ন ওডিট ও ফান্ড তৈরি করে। যেন ইউনিয়নটির গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা পরিবর্তন হয় ।
এ সময় সোহেল আহম্মেদ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পছন্দের লোককে সভাপতি করার জন্য নির্বাচন বাদ দিয়ে সিলেকশন নিয়ে ব্যস্ত কিছু সুবিধাবাদী । এর ফলে ইউনিয়ন এর নিয়ম-নীতির পরিবর্তন হতে যেতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক জানান, আওয়ামীলীগের শাসনামলে মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেওভোগ পোশাক প্রস্তুুতকারক মালিক সমিতির সভাপতি জি এম আরাফাত এর ইন্ধনে রাতের আধাঁরে সিলেকশনে ইউনিয়ন এর সভাপতি নির্বাচিত মোঃ ইকবাল মাহমুদ। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কোনদিন ইউনিয়নে একটি সাধারণ সভা হয়নি।
জি এম আরাফাত ও ইকবাল মাহমুদ শ্রমিকদের জিম্মি করে মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছিল। এতেকরে আমরা অসহায় শ্রমিকরা মালিকপক্ষের কাছে একরকম বিক্রি হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের অধিকার আদায়ের পক্ষে কথা বলেনি কেউ।
ইকবাল মাহমুদ শ্রমিক না হয়েও শ্রমিকনেতা হয় কিভাবে। আমরা যারা সাধারণ শ্রমিক তাদের এখন প্রানের দাবি ইলেকশনের মাধ্যমে শ্রমিক প্রতিনিধি নির্বাচিত হোক।