নারায়ণগঞ্জ মেইল: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পওে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেরে আওয়ামীলীগ নেতারাও পালিয়েছেন। তাদেও বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলেছে ক্ষুব্দ ছাত্র-জনতা কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি সেলিনা হায়াত আইভী। তিনি বহাল তবিয়তেই তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন, একটা ঢিলও কেউ ছুড়েনি তার রাজপ্রাসাদের মতো বাড়িতে। গত ১৫ আগষ্ট তিনি দলবল নিয়ে ২নং রেল গেইট এলাকায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এসে ফুলও দিয়ে যান। এ নিয়ে সেদিন অনেক বিএনপি নেতা বক্তব্য দিলেও কার্যত এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। তাই উৎসুক নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রশ্ন ‘আইভী কি দুধে ধোয়া তুলসি পাতা ছিলেন’!
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশঅলী আওয়ামীলীগ নেতা শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে আইভী আওয়ামীলীগের একটা অংশকে তিনি নিজের দিকে টেনে নেন এবং একটা ক্লিনম্যান ইমেজ তৈরী করার চেষ্টা করেন কিন্তু বাস্তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। শেখ হাসিনার মতো তিনিও উন্নয়নের বাহানায় নিজের অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। তিনি দেওভোগে একটি বিশাল বাড়ি নির্মান করেন যা স্থানীয়ভাবে হোয়াইট হাউস নামে পরিচিত। এই বিশাল বাড়ি করার টাকা কোথায় পেলেন তা নিয়েও বিভ্রান্তি আছে জনমনে।
তাছাড়া সিটি মেয়র আইভীর ছিলো ঠিকাদারদের সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। তিনি যেখানেই যেতেন সেখানেই তার সাথে ঠিকাদারদের দেখা যেতো। জাকির নামে এক ঠিকাদারকে পুলিশ গ্রেফতার করলে তিনি সারারাত নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় বসে ছিলেন অথচ তার কাউন্সিলর নজরুল নির্মমভাবে নিহত হলেও এ বিষয়ে কখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়নি মেয়রকে। আইভীর সাথে ভাগ বাটোয়ারা করে ব্যবসা চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের এক সময়ে টোকাই নামে পরিচিত আবু সুফিয়ান শহরের সেরা করদাতা হয়েছিলেন যা এখনও অবাক করে নারায়ণগঞ্জবাসীকে। তাছাড়া বিএনপির কার্যালয়টি কেড়ে নিয়ে নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া করেছিলেন এই আইভী আর এ নিয়ে ক্ষোভও কম জমা হয়নি বিএনপি নেতাকর্মীদের মনে। এতোকিছুর পরেও আইভীর বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতাদের নমনীয়তা তাই বুকে শেল হয়ে বিঁধছে তাদের মনে।