নারায়ণগঞ্জ মেইল: চলছে পবিত্র মাহে রমজান মাস। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধাক্কা সামলে উঠে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার জন্য থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার মাহফিল আয়োজন করছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। এতে করে মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় হচ্ছে এবং সাংগঠনিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ বের করা হচ্ছে। আর এটাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অবস্থা একেবারে শোচনীয়। নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ের চূড়ান্ত আন্দোলনে যেমন ব্যর্থ ছিলেন তারা, তেমনি নির্বাচন পরবর্তী সময়েও নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ গিয়াসউদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন। তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের খুঁজেই পাচ্ছেন না। এমনকি চলমান মাহে রমজান মাসে ইফতার মাহফিল আয়োজনেও নেই তাদের কোনো দিকনির্দেশনা বা অংশগ্রহণ।
সূত্র প্রকাশ, গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে পর থেকে দেশে চলমান আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহমেদ এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে হরতাল অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিত তারা ছিলেন সফল। কেন্দ্রের দেয়া প্রতিটি কর্মসূচি নেতাকর্মীদের নিয়ে সফলভাবে পালন করেছেন মহানগর বিএনপি নেতৃত্বে থাকা সাখাওয়াত-টিপু জুটি। এমনকি নির্বাচনের আগের রাতেও বিশাল মশাল মিছিল করে শহর প্রকম্পিত করে তোলেন তারা।
নির্বাচন পরবর্তী সময়ে নেতাকর্মীদের মামলা হামলায় সকল আইনি সহায়তা দিয়ে জামিনের ব্যবস্থা করেন মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। কারাবন্দী সকল নেতাকর্মীদেরকে জামিনে বের করে এনে ফুলেল সংবর্ধনা দেয়া হয় মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে। এতে করে নেতাকর্মীরা মনোবল ফিরে পান এবং নতুন করে আন্দোলন সংগ্রামে উজ্জীবিত হন। চলমান পবিত্র মাহে রমজান মাসে বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার মাহফিল আয়োজনের জন্য রমজান মাসের পূর্বে সাংগঠনিক সভা আয়োজন করেন এবং ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে নেতাকর্মীদে কাছে গিয়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশের পর থেকে উধাও হয়ে যান নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপির দেয়া হরতাল অবরোধ কর্মসূচির একটি তো উপস্থিত ছিলেন না গিয়াস কিংবা খোকন। এমনকি তাদের নেতাকর্মীদের দিয়েও কোনো কর্মসূচির আয়োজন তারা করতে পারেননি। নির্বাচন পূর্ববর্তী সময় পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দেয় জেলা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব।
নির্বাচন পরবর্তী সময়ও একই ধারা অব্যাহত রাখেন তারা। নেতাকর্মীদের হামলা মামলার কোন খোঁজ তারা নেননি, দেয়া হয়নি কোনো আইনি সহায়তা। তাদের পরিবার-পরিজনের প্রতিও কোনো দায়িত্ব পালন করেননি গিয়াস-খোকন। চলমান পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ইফতার মাহফিল আয়োজনের কোন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়নি জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে। ফলে জেলা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।