নারায়ণগঞ্জ মেইল: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। বিগত সময়ের নির্বাচনগুলোতে তিনি কখনো জয়ের মুখ দেখেননি। এমনকি জেলা আইনজীবী সমিতি কিংবা বধির সংঘের নির্বাচন- কোনখানেই জয় পাননি তৈমুর। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তার জন্য একই পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনীতিবিদদের মতে, ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পরে তৈমুর আলম খন্দকার বলেছিলেন “আমাকে বিনা গোসলে কোরবানি করা হলো” এবং এর দায় চাপিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপর। নির্বাচনের মাত্র কয়েক ঘন্টা পূর্বে নির্বাচন থেকে তৈমুরকে সরিয়ে নিয়েছিলো বিএনপি আর সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি তাকে বিনা গোসলে কোরবানির দায় চাপিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার উপরে।
২০১১ সালের মতো ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তৈমুরকে একই পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের কারণ এ আসনে তৈমুরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর বিপরীতে। একে তো রূপগঞ্জে গাজীর রয়েছে একাধিপত্য, সেই সাথে সরকারি দলের ক্ষমতা। আর অপরদিকে তৈমুর নির্বাচনে লড়ছেন শুধু ফাঁকা বুলি দিয়ে কারণ তার তৃণমূল-বিএনপি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি সাধারণ মানুষের কাছে বরং বারবার দলের সঙ্গে বেইমানি করায় তৈমুর সাধারণ মানুষের কাছে একজন নীতিহীন আদর্শহীন রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছেন। তাই এবারের নির্বাচনে তৈমুরের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে। আর তাই এবার তাকে বলতে হতে পারে “শেখ হাসিনা তাকে বিনা গোসলে কোরবানি দিয়ে দিলো।”