নারায়ণগঞ্জ মেইল: মহানগর আওয়ামী লীগের পর এবার বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ আঞ্চলিক শ্রমিক লীগ নেতৃবন্দকে একেএম শামীম ওসমান ও একেএম সেলিম ওসমানের জন্য মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। সেই সাথে ভোট কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে প্রতি একশজন ভোটারের জন্য দুইজন করে কর্মীকে মাঠে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলাবার ১১জানুয়ারী সন্ধ্যা ৭টায় পুরাতন কোর্ট এলাকায় অবস্থিত তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি জামায়তের অগ্নি সন্ত্রাস, দেশ বিরোধী অপপ্রচার অপরাজনীতির বিরুদ্ধে দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিলের পূর্বে তিনি এমন নির্দেশনা দেন।
অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, দল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী দিয়েছে এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন ফাঁকা রেখেছে এটা আপনারা সবাই জানেন। আওয়ামী লীগ কোন দেউলিয়া দল নয়। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে দলের প্রায় ডজন খানেক প্রার্থী ছিলো। কিন্তু কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। দল চায় আমরা সংগঠনের জন্য কাজ করি। এই আসনে নেত্রী যাকে সব থেকে বেশি যোগ্য মনে করেছেন, যেই বাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম সেই বাড়ির সন্তানের জন্য আসনটি ফাকা রেখেছেন। দল থেকে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীও হয়নি। কয়েক দিন আগে কেন্দ্রে যোগাযোগ করে ছিলাম। ওনারা আমাকে প্রশ্ন করে ছিলেন জাতীয় পার্টির সাথে এবার আমাদের কোয়ালিশন হয়নি। যারা আছে তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি যোগ্য প্রার্থী কে? উত্তরে আমি বলে ছিলাম একেএম সেলিম ওসমান। তখন ওনারা আমাকে বলেছেন সেই যোগ্য প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে কাজ করেন।
কারো নাম উল্লেখ না করে খোকন সাহা বলেন, দলের কেউ কেউ পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন যে লাঙ্গল মার্কা আওয়ামী লীগের মিটিং। আমি বলবো শুধু পত্রিকার নিউজ দেখে রাজনীতি হয়না। তাদেও বোধদয় থাকলে তারও সেলিম ওসমানের পক্ষে মাঠে নামবে। নেত্রী যোগ্য প্রার্থীর জন্য আসনটি ফাঁকা রেখেছেন। আমি নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না। নেত্রীর সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করতেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। তারা বলে লাঙ্গল মার্কা আওয়ামী লীগ। আমি যদি সংগঠন বিরোধী কাজ করে থাকি তাহলে কেন্দ্রে নালিশ করে আমাকে দল থেকে বের দেন। আপনারা নেত্রীকে প্রশ্ন করেন কেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী দিলেন না। আপনারা যদি বর্তমান প্রেক্ষাপট বুঝে থাকেন, নেত্রীর ইঙ্গিত যদি বুঝে থাকেন তাহলে আপনারও সেলিম ওসমানের জন্য মাঠে নামবেন।
জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির এর সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান এর সঞ্চালনায় দোয়া পূর্বক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসেন, কার্যকরী সদস্য শিপন সরকার, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম খান, সিদ্ধিরগঞ্জ আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ সামাদ বেপারী, আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ কবির, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা তাতী লীগে আহবায়ক চৌধুরী এসএম শাহেদ সহ বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ।