নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। নারায়ণগঞ্জ – ৫ আসনে অনেকেই কিন্তু দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রার্থী হয়েছিল। কিন্তু আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে কাউকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়নি। আওয়ামী লীগের কেউ কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়নি। যেহেতু আমাদের দলীয় কোন প্রার্থী নেই আমরা নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দানবীর একেএম সেলিম ওসমানকে সমর্থন করব। যখনই নির্বাচনে প্রচারণা শুরু হবে সেলিম ওসমানের পক্ষে আপনারা প্রচারনা শুরু করবেন। আমরা বিপুল ভোটের মাধ্যমে সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করবো।
বিএনপি জামাতের অগ্নি সন্ত্রাস, দেশবিরোধী অপপ্রচার ও অপরাজনীতির কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
রবিবার ( ১০ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন কোর্ট সংলগ্ন এড. খোকন সাহার চেম্বারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সমস্ত ওয়ার্ড ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ দানবীর একেএম সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৫৩ থেকে ৫৫% ভোটার আওয়ামীলীগের। অনেকেই মনে করেন যে ২% ভোট পেলেই বিজয়ী হবে। আমাদেরকে ভোটার উপস্থিতি দেখাতেই হবে। ভোটার উপস্থিতি দেখাতে পারলেই আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জয়যুক্ত হবো। ভোটের দিন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে সকলেই ভোটারদেরকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে কিছু কিছু দেশের মানুষের নজর পড়েছে আমাদের দেশের উপর। ওরা আমাদের দেশের সেন্টমার্টিনকে নিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশকে আফগানিস্তান ও লিভিয়া বানাতে চায়। ওরা বাংলাদেশকে চিরতরে নির্মূল করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা কারও গোলাম না। নেত্রী বলেছেন বিদেশে আমাদের বন্ধুত্ব আছে কিন্তু আমরা কারো দাসত্ব বিশ্বাস করি না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা কারো কাছে নাকে খত দিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন না। সেই বিদেশি বন্ধুদের দেখিয়ে দিতে হবে। আমাদেরকে ভোটার উপস্থিতি বানাতে হবে। যে দেশের জনগণ ভোট দিয়েছে তা সারা পৃথিবীকে দেখাতে হবে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি হায়দার আলী পুতুল, মাসুদুর রহমান খসরু, রবিউল হোসেন, এড. হান্নান আহমেদ দুলাল, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, এড. মাহমুদা মালা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুৎ কুমার সাহা, সদস্য শিখণ সরকার শিপন, এসএম পারভেজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল আলম সজল, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, মহানগর আওয়ামী তাঁতীলীগের আহ্বায়ক শাহেদ চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনি খাঁনসহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।