নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকে ১৬বছর যাবৎ এই সরকার জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতায় বসে আছে। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে একটি মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে জেলে রাখা হয়েছে। এই সরকার খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা অবস্থায় সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে দেয়নি। যার কারনে খালেদা জিয়া আজ অসুস্থ। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে দিচ্ছেনা এই সরকার। খালেদা জিয়ার কিছু হলে এই সকল দায় সরকারকেই নিতে হবে। তাদের সকল অপকর্মের বিচার একদিন এই বাংলার মাটিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় নগরীর চাষাড়া মিশন পাড়ায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের নেত্রী। এদেশের ১৮ কোটি মানুষ চায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হোক। আজকের এই সভা থেকে আমরা বলতে চাই অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিন। আর যদি তাকে মুক্তি উন্নত চিকিৎসা করাতে না দেয়া হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে এই সরকারকে উৎখাত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। আগামী দিনে এই অবিচার সরকারের পদত্যআগসহ এক দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মহানগর সংগঠন নেতাকর্মীরা রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আপনারা হলেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সামনে নির্বাচন, ইতিপূর্বে আপনাদেরকে এই সরকার যেভাবে ব্যবহার করেছে আপনারা সেইভাবে ব্যবহৃত হবেন না। আপনারা এদেশের আইন অনুযায়ী সকলে সাথে সমান আচরণ করুন। অন্যথায় এদেশের মাটিতে আপনাদের ও বিচার করা হবে। আজকে কিন্তু যারা এ সকল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ( ঢাকা বিভাগীয় ) সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবদুস সালাম আজাদ, প্রধান বক্তা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ( ঢাকা বিভাগীয় ) সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাগর প্রধান, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বিএনপি নেতা হাজী ইসমাইল, আবুল হোসেন রিপন, শেখ সেলিম, সরকার আলম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, মহিউদ্দিন শিশির, নজরুল ইসলাম সরদার, শাহাদুল্লাহ মুকুল, আল আমিন প্রধান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।