নারায়ণগঞ্জ মেইল: দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর এবং দেড় বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে গত ২৯ আগষ্ট। এতোদিন পরে ঘোষিত কমিটি মাত্র তিনজনের দেখে ক্ষোভে ফেটে পরছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বছরের পর বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেও রাজনৈতিক পরিচয় বঞ্চিত এসব নেতাকর্মীরা আশা করেছিলেন এবার হয়তো বড় করে কমিটি ঘোষনা করা হবে কারণ এর আগে জেলা যুবদলের কমিটি ছিলো তিনজনের এবং মহানগর যুবদলের কমিটি ছিলো পাঁচজনের। বাকি নেতাকর্মীদেও কোনো পদ পদবী না থাকায় আন্দোলন সংগ্রামে গতি ফিরছিলো না যুবদলে। এবারো আগের মতো এই সর্ট কমিটি তাদেরকে পুরোপুরিভাবে হতাশ করেছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১৬ মার্চ ঘোষনা করা হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি। গোলাম ফারুক খোকনকে আহবায়ক আর মশিউর রহমান রনিকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করা হয় ভিপি কবিরকে। এর ছয় মাস পর ১৫ নভেম্বর ঘোষনা করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৯ সদস্যের আহবায়ক কমিটি যেখানে সদস্য সচিব করা হয় জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে। ফলে জেলা যুবদলের আহবায়ক পদটি খালি হয়ে যায়। এই ভাঙ্গাচোরা কমিটি দিয়ে কোনো রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিলো জেলা যুবদলের কার্যক্রম। পূর্নাঙ্গ কমিটি না থাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছিলো হতাশা। তবে নতুন কমিটিতে পদ পদবী পাবেন এই আশায় তারা বুক বেঁধে ছিলেন। কিন্তু ২৯ আগষ্ট কমিটি ঘোষনার পরে সেই পুরানো হতাশা আবারো তাদের মাঝে ফিরে এসেছে। ক্ষোভ আর দু:খের সাথে তারা তাই নতুন এই কমিটিকে তাই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি।
২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর ঘোষনা করা হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সুপার ফাইভ আহবায়ক কমিটি। মমতাজউদ্দিন মন্তুকে আহবায়ক আর মনিরুল ইসলাম সজলকে সদস্য সচিব করে ঘোষনার প্রায় দুই বছর এই পাঁচজনেই আটকে ছিলো মহানগর যুবদল। এই সময়ের মধ্যে মহানগর যুবদল নিজেদের কমিটি পূর্নাঙ্গ করতে পারেনি, পারেনি কোনো ইউনিট কমিটিও ঘোষনা করতে। তাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ব্যানারে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে আসা নেতাকর্মীদের কারো কোনো পদ পদবী বা রাজনৈতিক পরিচয় ছিলো না। নতুন কমিটি আসার খবরে তাই তারা খুবই উৎফুল্ল ছিলো কিন্তু তাদের সেই আনন্দ নিমিষেই মাটি হয়ে যায় মাত্র তিনজনের কমিটি দেখে। পাঁচজনের কমিটি দুই বছর পার করেছে, তিনজনের কমিটি এবার কয় বছর পার করে সেই শংকা এখন তৃণমূলের মনে।