মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে সাখাওয়াত-টিপু

নারায়ণগঞ্জ মেইল: আসন্ন ঈদ উল আযহার পরেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সম্মেলন। ইতিমধ্যেই মহানগরের আওতাধীন দুইটি থানা ও একটি উপজেলার সম্মেলন সম্পন্ন করেছেন সংগঠনের আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। শেষ হয়েছে ১৭টি ওয়ার্ড ও ৭টি ইউনিয়নের সম্মেলনও। প্রতিটি সম্মেলনে তারা নিজেরা উপস্থিত থেকেছেন। ইতপূর্বে প্রতিটি ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নে সম্মেলন আয়োজন করে কমিটি গঠনের নজির ছিলো না মহানগর বিএনপিতে। সকল সাংগড়ঠনিক কার্যক্রম শেষ করে এখন মহানগর বিএনপির একটি জমকালো সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এ দুই ডায়নামিক নেতা। কমিটি গঠনের পর থেকেই একটি গ্রুপের প্রবল বিরোধীতা আর ষড়যন্ত্রের পরেও কমিটি গঠন ও রাজপথের আন্দোলন সমানতালে চালিয়ে যাওয়া সাখাওয়াত-টিপু জুটি এখন নতুন এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে।

 

জানা যায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক এবং এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটি ঘোষনার পর থেকেই একটি পক্ষ সরকারের ইন্ধনে এই কমিটির বিপক্ষে অবস্থান নেন। বিদ্রোহী গ্রুপের সকল বাঁধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে মনোনিবেশ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত দুইজন। তারা মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, রাশিদা জামাল, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাসুদ রানা, এডভোকেট আনোয়ার প্রধানসহ সমমনাদের নিয়ে মহানগর বিএনপির আওতাধীন ইউনিট কমিটিগুলো গঠনের লক্ষ্যে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে থাকেন। নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দরের প্রতিটি অলিগলি ঘুরে ঘুরে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাছাই করে একটি গ্রহনযোগ্য কমিটি গঠনের জন্যে কাজ করেন। এ লক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিটি সম্মেলনে তারা উপস্থিত থেকেছেন, ঘওে বসে কমিটি ঘোষনার সংস্কৃতিকে বিদায় জানিয়ে নিজেদের নিয়ে গেছেন অসামান্য উচ্চতায়। অতীতে যা ঘটেনি তাই করে দেখিয়ে দিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সকল নেতাকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সকল ইউনিটের সম্মেলন শেষ করতে পেরেছি। আগামীর আন্দোলন সংগ্রামের জন্যে দলকে শক্তিশালী করতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন, সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে করতে গিয়ে পদে পদে বাঁধার সম্মুখিন হয়েছি। তারপরও সকল জিয়ার সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলে আমরা সফলতার দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি। আগামী ঈদ উল আযহার পরে মহানগর বিএনপির একটি সফল ও গ্রহনযোগ্য সম্মেলন আয়োজন করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দিতে চাই। আমাদের এই চলার পথে যাদেরকে পাশে পেয়েছি তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি নেতাকর্মীকে।

 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জে লাঙল আর নৌকা মার্কা বিএনপির নেতারা ষড়যন্ত্র শুরু করে। আমাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে তারা নানাভাবে বাঁধার সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু আমাদের দুইজনের ইস্পাত কঠিক মনোবল আর নেতাকর্মীদের সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতার ফলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি। আমরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে ইতিহাস সৃষ্টি করে গেলাম। এর আগে মহানগর বিএনপির প্রতিটি ইউনিটে আলাদা আলাদা সম্মেলন করে কমিটি গঠন করা হয়নি। আমরা মাঠ পর্যায় থেকে ত্যাগী নেতাকর্মী বাছাই করে এনেছি। আগামী ঈদের পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একটি উৎসবমুখর সম্মেলন আয়োজন করে আমাদের উপর অর্পণ করা গুরু দায়িত্ব সম্পন্ন করবো। আমাদের এই দীর্ঘ পথচলায় যারা আমাদেরকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আগামীর আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ