নারায়ণগঞ্জ মেইল: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের কোন্দল বেড়েই চলছে। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে নৌকার দাবীসহ দলীয় মনোনয়ন ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যে শহর জুড়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদেও অবস্থান শক্ত করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। নির্বাচন ইস্যুতে ঈদের পর স্থানীয় শীর্ষ নেতারা আরো দ্বন্দ্ব জড়িয়ে পড়বেন বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ইতিমধ্যে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তির সমাবেশে খোকন সাহা বলেছেন, ঈদের পর নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ বিশ ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জের পাঁচ আসনের মধ্যে দুটি আসন আতীয় পার্টির দখলে রয়েছে। তবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৫ আসনে নৌকার দাবী করছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ একাংশ নেতারা। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই নৌকা প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী রয়েছে। তবে এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচজন প্রার্থী মাঠে সরব হলেও ঈদের পর এর সংখ্যা দশজন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে নিজেকে প্রার্থী ঘোষনা করে শহর জুড়ে পোস্টার লাগিয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর ভাই আলী রেজা উজ্জল, খোকন সাহা, এড. আনিসুর রহমান দিপু ও জিএম আরাফাত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনে শামীম ওসমানের আমনে শ্রমিক নেতা কাউসার আহাম্মেদ পলাশ দলীয় প্রতীক চাইবেন। কিন্তু আগামী নির্বাচনেও শামীম ওসমান পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন এটা অনেকটা নিশ্চিত। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত নৌকা প্রতীক পেতে বেশ সরব রয়েছেন। যার ফলে অনেকটা বেকায়দায় রয়েছেন বর্তমান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ছাড়াও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাবুর বিপরিতে ইকবাল পারভেজ সরব রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ছাড়াও রংধনু গ্রুগের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনভীর, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইসহ বেশ কয়েকজন নৌকা প্রতীক চাইবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে নারায়ণগঞ্জে আওমালীগের শীর্ষ নেতাদের দ্বন্দ্ব ততই বেড়ে যাবে। নেতারা কয়েকটি ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে কর্মীদের উপর। নেতাদের দ্বন্দ্বে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বেন মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা।