নারায়ণগঞ্জ মেইল: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। প্রথমে তাকে জেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে বিএনপির সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
তৈমূরের মতো একই পরিনতি অপেক্ষা করছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল এবং নুরুদ্দিনের জন্যে। ইতিমধ্যেই মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে তাদের দুইজনকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এখন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর পালা। দলের আভ্যন্তরিন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে মুকুল-নুরুদ্দিনের জন্যে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ কখনো দলীয় হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে সাহস না পায়।
সূত্র মতে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক ও এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে ঘোষনা করা হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এই কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটি ঘোষনার পর থেকেই বিরোধীতা শুরু করেন যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল। কমিটির বেশ কয়েয়কজন সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে মূলধারার বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন এবং বিএনপির বহিস্কৃত নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসভবনে গিয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দেন। দলীয় হাইকমান্ড মুকুল নুরুদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহন করে তাদের দুইজনকে মহানগর বিএনপি থেকে স্থায়ীভাবে অব্যহতি প্রদান করে।
গত ১৫ বছর সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে অনুপস্থিত মুকুল হঠাৎ করে বিএনপিতে সক্রিয় হওয়ার পিছনে ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে বিএনপির নীতি নির্ধারনী ফোরাম। সরকারী দলের লেজুরবৃত্তি করা মুকুল এবারো কোনো মিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির পায়তারা করছেন এবং আগামী দিনে যাতে নারায়ণগঞ্জে সরককারবিরোধী আন্দোলন দানা বাঁধতে না পারে সে লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করছেন বলেই মনে করছেন তারা। আর তাই দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে মুকুল-নুরুদ্দিনকে তৈমূরের মতো ছেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএনপি।