নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করি। সরকারের ইন্ধনে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা চালানো থেকে বিরত থাকুন। আপনারা প্রজাতন্ত্রের সেবক, আপনারা নিরপেক্ষ রেফারির ভূমিকা পালন করুন।
তিনি বলেন, গতরাতে জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ গিয়াস উদ্দিনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর বাসায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে। প্রায় সাত জন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে আমরা আজকের এই সভা থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তারিত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করছি।
বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার ( ১ এপ্রিল ) শহরের চাষাড়া শহীদ মিনারে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে দেশে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। মানুষ এখন বাজারে গিয়ে পন্য কিনতে না পেরে মুখ লুকিয়ে কাঁদে। দেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত রয়েছি। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ থেকে শুরু হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও প্রতিটা অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সে আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি ঢাকা বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু।
এদিকে মহানগর বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দল, কৃষকদল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতীদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০দফা দাবিতে শ্লোগানে শ্লোগানে অংশগ্রহণ করেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, ফতেহ রেজা রিপন, সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. আনোয়ার প্রধান, মাহমুদুর রহমান, রাশিদা জামাল, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান দুলাল, হাবিবুর রহমান মিঠু, শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, বন্দর থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, শাহেদ আহমেদ, বিএনপি নেতা হারুন উর রশিদ লিটন, শাহাদুল্লাহ মুকুল, মহি উদ্দিন শিশির, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, নাসির উদ্দিন টিপু, বাবু খান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মিয়াজী, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক মামুন ভূইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর তাঁতীদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।