নারায়ণগঞ্জ মেইল: সরকারবিরোধী আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে দাপট দেখাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা। লাগাতার কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে জেলাজুড়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে তারা। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মো: গিয়াসউদ্দিন এবং মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। ফলে যত দিন যাচ্ছে ততই নারায়ণগঞ্জের রাজপথের দখল বিএনপির কাছে চলে যাচ্ছে।
সূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে চলছিলো চরম দ্বন্দ্ব আর কোন্দল। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা একটা সময়ে সংঘাতে র্রূপ নিয়োছিলো। তাছাড়া ইউনিট কমিটি গঠন করতে গিয়ে সীমাহীন পদ বানিজ্য করায় বিতর্কিত হয়ে পিেছলো সে সময়ের নেতৃত্ব। ফলে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম দানা বাঁধতে পারতো না। দলের এই চরম ক্রান্তিলগ্নে জেলা বিএনপির দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ সাবেক সাংসদ মো: গিয়াসউদ্দিনের হাতে। দায়িত্ব পেয়েই তিনি মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেন এবং সকলের মাঝে চলমান বিরোধ নিরসন করতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ন দুটি ইউনিট ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের কমিটি নিয়ে চলমান দ্বন্দ নিরসন কওে গ্রহনযোগ্য কমিটি করে দেন। এর আগে ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি নিয়ে ছিলো সীমাহীন জটিলতা। সংগঠনের আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল ও সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটু একসঙ্গে একটি কর্মসূচিও পালন করেননি। পারেননি একটি ইউনিয়ন কমিটিও অনুদোদন করতে। এবার শহিদুল ইসলাম টিটুকে আহবায়ক এবং এডভোকেট আ: বারি ভূইয়াকে সদস্য সচিব করে ঘোষনা করা হয় কমিটি। ফলে অবসান হয় সকল দ্বন্দ সংঘাতের। সাংগঠনিক গতি ফিরে পায় ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এর চেয়ে খারাপ অবস্থা ছিলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি নিয়ে। কমিটি ঘোষনা করেও ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন সে সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এবার মাজেদুল ইসলামকে আহবায়ক আর ইকবাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে কমিটি ঘোষনা হওয়ায় স্বস্তি ফিলে এসেছে তৃণমূলে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতেও গতি ফিরেছে। এডভোকেট আবুল কালামের সময়ে মহানগর বিএনপি ছিলো চারদেয়ালে বন্দি। তিনি নিজে কর্মসূচিতে যেতেন না, শীর্ষ নেতাদেরও দেখা যেতোনা। শুধু নিজ বাড়িতে বসে বক্তব্য বিবৃতিতে চলতো রাজনৈতিক কার্যক্রম। কিন্ত মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি হওয়ার পওে আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু নেতাকর্মীদেও রাজপথে টেনে এনেছেন। বিভিন্ন মিটিং মিছিলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পশিাপাশি সাংগঠনিকভাবেও কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এ জুটি। ইতিমধ্যেই তারা প্রতিটি ইউনিটে কর্মিসভা করে প্রতিটিতে সমন্বয় কমিটি করে দিয়েছেন। সে মতে দুটি থানা কমিটিও ঘোষনা হয়ে গেছে। মাসুদ রানাকে আহবায়ক এবং এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানকে সদস্য সচিব সদর থানা বিএনপির কমিটি এবং মাজহারুল ইসলাম পনেছকে আহবায়ক ও নাজমুল হক রানাকে সদস্য সচিব করে ঘোষনা করা হয়েছে বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটি। এর আগে সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হয়েছিলো গোগনগর ও আলরিটেক ইউনিয়নে কমিটি। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো কাজও চলমান আছে। বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিজের সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে নিচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।