তৈমূর আউট, আলোচনায় মামুন মাহমুদ ও মান্নান

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে চলছে ভানুমতির খেল্। কেন্দ্রে লবিং গ্রুপিং চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য নেতারা, সেই সাথে কেন্দ্রীয় নেতারাও তাদের তদবির শুনছেন আর বিগত দিনের কর্মকান্ডের বিচার বিশ্লেষন করছেন। এর ফলে গত কয়েক মাস যাবত নিজের ঢোল নিজেই পেটানো জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকারের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে জেলা বিএনপির আহবায়ক পদ। কারন অতীতের কর্মকান্ড আর রাজপথে অনবদ্য অবদান রাখায় সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের দিকেই ঝুঁকে পরছে কেন্দ্র। আর মোটা টাকা খরচ করা সোনারগাঁয়ের আজহারুল ইসলাম মান্নান থাকছেন সদস্য সচিব পদে। এমনটাই জানা গেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র থেকে।

সূত্র মতে, এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে জেলা বিএনপির আহবায়ক পদে আনরি জন্যে জোর চেষ্টা চালিয়েছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। কিন্তু তৈমূরের বিগত দিনের ইতিহাস তাকে সে পদ থেকে যোজন যোজন দুরে ঠেলে দিয়েছে। তৈমূর জেলা বিএনপির সভাপতি থাকাকালে সংগঠনের কোন নিয়মনীতিই ছিলো না। তৈমূর তার ইচ্ছেমতো সংগঠন পরিচালনা করতেন। ছিলো না কোন চেইন অব কমান্ড। বিশেষ করে তৈমূরের ছিলো অত্যাধিক টাকার প্রতি লোভ। কেউ যদি তৈমূরকে টাকা দিয়ে খুশি করতে পারতো তাহলে সে যতো অযোগ্যই হোক না কেন তাকে তার কঙ্খিত পদ দিয়ে দিতেন তিনি। আবার এর কিছুদিন পরে কেউ যদি তার চেয়ে বেশী দিয়ে তৈমূরের মুখ বন্ধ করতেন, তাহলে আগে যাকে পদ দিয়েছিলেন তার কাছ থেকে কেড়েও নিতেন। জেলা বিএনপিকে তৈমূর আলম খন্দকার রীতিমতো বাচ্চাদের পুতুল খেলার সংগঠনে পরিনত করেছিলেন। ফলে সোনারগাঁয়ের আজহারুল ইসলাম মান্নানের শত চেষ্টার পরেও তৈমূরের বিষয়ে কেন্দ্রের মন গলাতে পারেননি, তৈমূরকে বোল্ড আউট করে দেয়া হয়েছে জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের রেস থেকে।


সূত্র জানায়, তৈমূর রিজেক্ট হওয়ায় সেক্ষেত্রে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের ভাগ্যে শিকে ছিড়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক বছরের আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির যে কয়েকজন ত্যাগী নেতা রয়েছেন তাদের মধ্যে মামুন মাহমুদ অন্যতম। প্রায় প্রতিটি সভা সমাবেশে তিনি উপস্থিত থেকেছেন, সহ্য করেছেন পুলিশের অসহনীয় নির্যাতন। জেলও খেটেছেন অনেকবার। আর তাই আসন্ন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির দায়িত্বে অধ্যাপক মামুন মাহমুদের চলে আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী বলেই জানা গেছে।


অপরদিকে কমিটির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ সদস্য সচিব পদে যথারীতি তার অবস্থান ধরে রেখেছেন সোনারগাঁ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান। দলের এবং নেতাকর্মীদের পিছনে মান্নানের বিগত দিনের শ্রমের মূল্যায়ণ করেই তাকে দেয়া হচ্ছে এ পদ, বিশেষ করে নেতাকর্মীদের মামলা হামলার সকল খরচ দিয়ে এবং পরিবারের নিয়মিত খোঁজ খবর রেখে মান্নান নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। তাছাড়া কেন্দ্রেও অনেক টাকা খরচ করেন মান্নান দলের পিছনে। ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্ভাব্য সেনাপতি হিসেবে মান্নানের নামটিই রয়েছে অগ্রভাগে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ