নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির মাঠে নীরব ভূমিকায় রয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগ। ২০১৫ সালে মহানগর আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনার পর থেকে রাজপথে বিশাল আয়োজন করে কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়নি। তবে হাতেগুনা দু ইবা তিনটি কর্মসূচী পালনে ব্যাপক আয়োজন করলেও তা সফল করতে সক্রিয় ভাবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। যদিও তিনি মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য।
স্থানীয় বা কেন্দ্রীয় সকল কর্মসূচীই পালন করছেন দলীয় কার্যালয়ে হাতেগোনা কিছু লোক নিয়ে। কথিত আছে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে কর্মীবিহীন নেতার সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে মহানগর আওয়ামীলীগ। কর্মী না থাকায় দলীয় কর্মীসূচী পালনে তেমন একটা সফলত্ াদেখাতে পারেনি। যদিও মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটিতে শামীম ওসমানের অনুসারিরাও রয়েছেন। তবে সভাপতি আনোয়ার হোসেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বলয়ে থেকে নিজের সুবিধা আদায় করায় শামীম অনুসারিরা পৃথক বলয় তৈরী করেছেন। যার ফলে দলীয় কর্মসূচী পালনে মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন অনেকটা ব্যর্থ।
ব্যর্থতার আরেকটি কারণ হিসেবে দেখা যায়, দীর্ঘদিনেও মহানগর আওয়ামীলীগের আওতাধীন সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে কমিটি দিতে পারেনি। মূলত নেতায় নেতায় বিভক্তির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
জানাগেছে, ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষণা করা হয় আনোয়ার হোসেনকে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় অ্যাডভোকেট খোকন সাহাকে। ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দীর্ঘ দুই বছর তিন মাস পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ২৫ অক্টোবর মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তুঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সম্মেলন হয়নি। কবে নাগাদ সম্মেলন হবে তাও এখন নিশ্চিত করে বলতে পারেনি মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা।
এদিকে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে মহানগর আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবী উঠেছে। যদিও আনোয়ার হোসেন পুনরায় সভাপতি পদটি ধরে রাখতে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুই বলয়ের পাশাপাশি কেন্দ্রেও লবিং করছেন বলে জানাগেছে।